দুষ্কৃতীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই সাগর শেখ (২১) খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে অনুমান করছে পুলিশ। শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সাগরের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পরে কড়া পুলিশ প্রহরায় কেশিয়ায় হয় অন্ত্যেষ্টি। কাটোয়া আদালতের নির্দেশে কবরস্থানে কয়েক মিনিটের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর বাবা জঙ্গল শেখ ও দাদা সাদ্দাম শেখকে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ নভেম্বর কালীপুজোর সন্ধ্যায় কাটোয়া শহরের কেশিয়ায় খুন হন রহিম শেখ। পুলিশের খাতায় তাঁর নামে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকা-সহ প্রচুর অভিযোগ ছিল। ওই খুনে জড়িত সন্দেহে নিহত সাগরের বাবা জঙ্গল ও দাদা সাদ্দামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্ধমান জেলা পুলিশের এক কর্তার অনুমান, রহিম শেখ খুনের প্রতিশোধ নিতেই জঙ্গলের ছোট ছেলে সাগরকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। তিনি জানান, নিহতের বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ রয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। বাড়ি কেশিয়ায় হলেও জামাইপাড়ায় পিসির বাড়িতেই তিনি থাকতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাগরের সৎমা আনোয়ারা বিবি কাটোয়া থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, কাটোয়া আদালত থেকে জামাইপাড়া যাওয়ার পথেই সাগরের গতিবিধির খবর পেয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ভাগীরথী ফেরিঘাটে হরিসভাপাড়ায় একটি চপের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে তাকে গুলি করা হয়। গুলি লেগেছিল হাতে। পরে ঘটনাস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের জাজিগ্রামের কাছে খাঁপুকুর পাড়ে পুলিশ তার রক্তাক্ত দেহ পায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি সাইকেল, কালো স্কুটি ও রক্তমাখা একটি সাদা জামা পেয়েছে পুলিশ। |