শ্রমিক আন্দোলনের চাপে শুক্রবার থেকে যন্ত্রপাতি গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু করল ঠিকাদার সংস্থা। অন্ডালের কাজোড়া এরিয়ার জামবাঁধ খোলামুখ খনির সম্প্রসারণের কাজের জন্য ওই ঠিকা সংস্থাকে কাজের বরাত দিয়েছিল ইসিএল। সংস্থার অন্যতম কর্তা যোগেশ বোড়ার অভিযোগ, গত বছর ২২ অগস্ট থেকে তাঁদের কাজ শুরু করার কথা ছিল। ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ক্যাম্প বানানো হয়েছিল। কিন্তু লাগাতার আন্দোলনের জেরে তাঁরা কাজ শুরুই করতে পারেননি। এ দিকে প্রতি মাসে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাঁদের ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। দশ দিন আগে তাঁরা এরিয়ার জিএমকে জানিয়েছেন, এ ভাবে কাজ করতে পারবেন না। সিটু নেতা মনোজ দত্ত এবং এআইটিইউসি নেতা প্রভাত রায়েরা বলেন, “ইসিএল জামবাঁধ খোলামুখ খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল। তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল, এই জমিতে ইসিএল সরাসরি কাজ করবে। শেষে সম্প্রসারিত কাজ ঠিকাদারকে দিয়ে করানো শুরু হয়েছিল। আমরা জানিয়েছিলাম, মানব না। পরাশকোল ও বেনিয়াডিহি অধিবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়ার পরে জনশুনানি করতে হবে।” ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “১৭৭টি পরিবার ইসিএলের জায়গা দখল করে বাস করছে। তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে দিতে চাওয়া হয়েছিল। এই জমির নীচে ৯ মিলিয়ন টন কয়লা আছে। এলাকাটি অগ্নিপ্রবণ। কয়লা না কাটলে অবৈধ খননের কারণে বিপদ হতে পারে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”
|
চিত্তরঞ্জন রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হল শুক্রবার সকাল থেকে। সংগঠনের চিত্তরঞ্জন শাখার সম্পাদক সুকান্ত দাস জানান, সিটুর ডাকা বাস ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মীরা নিরাপত্তা পাবেন, প্রশাসনের এই আশ্বাস পাওয়ার পরই ধর্মঘট তুলেছি। আইএনটিটিইউসির বাস কর্মী সংগঠনের সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া জানান, বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বিঘ্নে বাস চালানোর সাহস জোগানোর পরেই বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। |