নর্দমার জলে সমস্যা গ্রামে
র্দমা উপচে নোংরা জল রাস্তার উপর দিয়ে বইছে। ফলে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে ওই রাস্তা ব্যবহারকারীদের। কিন্তু সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলেও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রাজনগরের তাঁতিপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘মিহিরলাল সরণি’ নামে ওই রাস্তাটি গ্রামে ঢোকার মূল পথ হলেও খুব একটা চওড়া নয়। তার উপরে বছর দুই আড়াই আগে স্থানীয় তাঁতিপাড়া পঞ্চায়েত রাস্তার পাশে অপরিকল্পিত ভাবে একটি নর্দমা তৈরি করেছে।
দুর্ভোগের সূচনা সেখান থেকেই।
গ্রামবাসী মনোজ দাস, ভৃগুরাম দাসবৈষ্ণব, রবিলাল ঘোষ এবং সুজিত বাউড়িদের ক্ষোভ, “তৈরি হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই নোংরা জল-কাদায় নর্দমাটি প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তার পাশে থাকা বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে নির্গত জল রাস্তার উপর দিয়েই বইতে শুরু করে। সেই সমস্যা আজও থেকে গিয়েছে। বছরের যে কোনও সময়েই উপচে পড়া নর্দমার নোংরা জলের উপর দিয়েই যাতাযাত করতে হয় সাইকেল বা মোটরবাইক আরোহী থেকে ভারী যানবাহন স্কুলপড়ুয়া থেকে গ্রামের সকলকেই।” তাঁরা জানান, এই রাস্তাটি শুধু গ্রামের মূল রাস্তাই নয়, রাজনগর ও দুবরাজপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। অসুবিধা হয় তাঁদেরও।
নর্দমার জল জমে বেহাল রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।
বাসিন্দাদের দাবি, এ ব্যাপারে বহু বার পঞ্চায়েতে বলেও সুরাহা হয়নি। কিছু দিন আগে সমস্যার সমাধান চেয়ে পথ অবরোধও করেছিলেন। তখন পঞ্চায়েতের তরফ থেকে অশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, দিন পনেরোর মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু না রাস্তার পাশে থাকা বাড়িগুলি থেকে জল ফেলা বন্ধ করেছে, না সমস্যা মিটেছে! তাই বাধ্য হয়ে বুধবার তাঁরা মিহিরলাল সরণিতে বাঁশ, পাথর ফেলে প্রতিবাদ করেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর ওই দিন বিকাল তিনটে নাগাদ পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে রাস্তাটি খুলে দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
তাঁতিপাড়া পঞ্চায়েত প্রধান বামাপদ দলুই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি অবশ্য বলেন, “কিছু দিন আগেই মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই রাস্তার পশে থাকা যে সব পরিবারের ব্যবহার্য জল রাস্তায় পড়ছে, তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছিল, তাঁরা যেন জল রাস্তায় না ফেলেন। এ ছাড়াও, অর্থনৈতিক ভাবে সম্পন্ন পরিবারগুলিকে বাড়িতেই ‘শোকপিট’ (জল শোষণ করার ব্যবস্থা) বানিয়ে নিতে বলা হয়েছে। যাঁদের পক্ষে সেটা বানানো সম্ভব নয়, তাঁদেরটা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বানিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছে। তবে পঞ্চায়েতের হাতে টাকা না থাকায় এখনই সেটা করা যাবে না।” তিনি জানান, আবেদনে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকে শোকপিট তৈরি করেছেন বা করছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.