টুকরো খবর
মঞ্চ থেকে চা বাগানে
নাগরাকাটার সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বার হয়ে শুক্রবার সোজা চা বাগানে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমেই ভগতপুর চা বাগানে যান মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন কয়েকজন শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। এরপর তিনি যান গাঠিয়া চা বাগানে। নির্ধারিত সফরসূচি ভেঙে এভাবে চা বাগানে ঢুকে পড়ায় বিড়ম্বনায় পড়ে যান পুলিশ কর্তারা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী গাঠিয়া চা বাগানের নিউ লাইনে গিয়ে কথা বলেন শ্রমিকদের সঙ্গে। ঘটনাচক্রে ওই এলাকাতেই আদিবাসী শ্রমিক নেতা শুক্রা মুন্ডার বাড়ি। শুক্রাবাবু সেই সময় নাগরাকাটায় থাকলেও তাঁর মেয়ে জোৎস্না মুন্ডার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঝটিকা সফরে খুশি বাগানের শ্রমিকেরা। পরে শুক্রা মুন্ডা বলেন, “আমার বাড়ির দিকে যে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন, তা বুঝতেই পারিনি। উনি যে চা শ্রমিকদের কতটা ভালোবাসেন তা বুঝতে পারলাম।” নাগরাকাটার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “নাগরাকাটায় আসার অন্যতম কারণ হল এই এলাকা কেমনভাবে চলছে তা নিজের চোখে দেখা।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্সের কুর্তি চা বাগানে যাবেন বলে খবর ছিল। সেই খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে কুর্তি চা বাগানে বাগানের মালিক সংগঠনের কর্মকর্তারাও চলে আসেন। কিন্তু কুর্তির পথে কিছুটা গিয়েও গাড়ি ঘুরিয়ে নেন মু্খ্যমন্ত্রী। সরাসরি ভগতপুর চা বাগান হয়ে গাঠিয়া চা বাগানে চলে যান তিনি। তার পরে সন্ধ্যায় চাপড়ামারি বনবাংলোতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।

চাষিদের প্রশিক্ষণ
জৈব সার প্রস্তুতি, মাশরুম চাষ এবং মাছ চাষে প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকদের উৎসাহিত করতে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব রুরাল বায়োরিসোর্সেস কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন হল। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই প্রকল্পের সূচনা করেন উপাচার্য সমীরকুমার দাস। তিনি বলেন, “এই প্রকল্প সময়োপযোগী। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধিক নেতৃত্ব দিক এটা আমরা চাই। আজকের এই প্রকল্প সে ব্যাপারে তাৎপর্যপূর্ণ।” এ দিন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কৃষক এবং বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য মিলে অন্তত ১৫০ জন প্রশিক্ষণ নিতে হাজির হন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের উপদেষ্টা (বায়োটেকনোলজি বিভাগ) অরুণ এস নিনাভে। তাদের আর্থিক বরাদ্দেই রাজ্যে প্রথম এ ধরনের প্রকল্প চালু হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। তিন বছরে প্রকল্পের জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্তত হাজার জন চাষিকে প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী।

দুর্নীতির অভিযোগ
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিল দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। শুক্রবার জেলা বামফ্রন্টের সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “এসজেডিএ একটি উন্নয়ন সংস্থা। একে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতিতে ভরে যাচ্ছে সংস্থাটি। ত্রিফলা আলো নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এর প্রতিবাদে আগামী ৯ জানুয়ারি দুপুরে এসজেডিএতে বিক্ষোভ দেখাবেন বাম নেতারা।” অশোকবাবু জানান, বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৭ জানুয়ারি চিলড্রেন পার্ক, সেবক রোড এবং গুরঙ্গবস্তি বিদ্যুৎ বন্টন দফতরেও বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেই সঙ্গে পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, উন্নয়ন মূলক কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগে ওয়ার্ড ধরে ধরে নাগরিক কনভেনশন করা হচ্ছে বলেও অশোকবাবু জানিয়েছেন।

ধান কিনল দফতর
খড়িবাড়িতে সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে ধান কিনল খাদ্য সরবরাহ দফতর। শুক্রবার সকাল থেকে খড়িবাড়ির ব্লক অফিসে ওই ক্যাম্প হয়। তবে সেখানে বিহার এবং অন্য এলাকার চাষিরা এসে ধান বিক্রি করছে বলে প্রথমে একটি অভিযোগ ওঠে। তদন্তের পর প্রশাসন এবং খাদ্য সরবরাহ দফতরের তরফে জানানো হয়, খড়িবাড়ি এলাকাটি বিহারের সীমানায়। খড়িবাড়ি বাজারের পাশেই বিহারের গোয়ালডাঙি, বাউরিগছ এলাকা রয়েছে। সেখানে এ পারের বহু চাষির জমি রয়েছে। তাঁরাই শিবিরে ধান বিক্রি করেছেন। খবর পেয়ে খোঁজ শুরু করেন খড়িবাড়ির কৃষক সভার সম্পাদক রণজিৎ সরকার জানান, খড়িবাড়ির ওই চাষিদের সমস্ত কাগজপত্রও পরীক্ষা করা হয়। সকলের বিহারে জমি রয়েছে।

অনুমতি মিলল
বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের ফাঁসখোয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পিকনিক করার অনুমতি দিল বন দফতর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ফাঁসখোয়া এমনিতেই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন বন দফতর পিকনিকের অনুমতি দেওয়ার সেখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। বৃহস্পতিবার বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের কর্তারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। ব্যঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি বলেন, “সংরক্ষিত এলাকার আইন মেনে পিকনিকের অনুমতি দেওয়া হবে।”

বিক্ষোভ মিছিল
দিল্লিতে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করল সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন। শুক্রবার কাছারি রোডে মিছিল করে মশাল জ্বালিয়ে সংগঠনের মহিলারা প্রতিবাদ জানান। সংগঠনের তরফে সুপ্রীতি পাল জানান, সমস্ত অপরাধীদের অবিলম্বে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে।

৬৫টি মহিলা থানা
নারীদের বিরুদ্ধে বেড়ে চলা অপরাধ ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে ৬৫টি মহিলা থানা তৈরি করা হবে বলে শুক্রবার নাগরাকাটায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এর মধ্যে ১০টি ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে।

বিক্ষোভে দেরি
সংরক্ষিত কামরায় শৌচাগার অপরিচ্ছন্ন। কাচ ভাঙা। নেই বিদ্যুৎও। এই নিয়ে বিক্ষোভে শুক্রবার এনজেপি থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ল হাওড়া হয়ে দিঘাগামী পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.