|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
ভার্চুয়াল বইমেলার সন্ধানে
|
বইপোকা |
ডিসেম্বর ২০৫০। জাঁকাইয়া শীত পড়িয়াছে। জানালার কাচভাঙা অংশটি দিয়া কনকনে হাওয়া আসিতেছে দেখিয়া আপুনি গুঁজিয়া দিলেন চৌকোমতো কিছু একটি। বাড়ির শিশুটি জিজ্ঞাসা করিল, উহা কী? আপুনি বলিলেন, ইহাই ‘বই’ বা ‘গ্রন্থ’। পুরাকালে ইহার পাতা উল্টাইয়া মানুষ জ্ঞানার্জন বা আনন্দ আহরণ করিত! ভাবিতেছেন মস্করা করিতেছি। মোটেই না মহাশয়, বিশ্ব যে পথে চলিয়াছে তাহাতে ইহাকে কষ্টকর সুদূর কল্পনা বলিয়া উপেক্ষা করিবেন না। এই ত, প্রকাশিত হইয়াছে ‘নিউজউইক’ পত্রিকার শেষ মুদ্রিত সংখ্যা (৩১ ডিসেম্বর ২০১২)। ইহার পরে পত্রিকাটি কেবল ই-সংস্করণে প্রকাশিত হইবে। বই-বিলাসী হায় হায় করিয়া উঠিবেন, নূতন পৃষ্ঠার সেই মাদক গন্ধটি হারাইয়া গেল, জিভে অঙ্গুলি ছোঁয়াইয়া পাতা উল্টাইবার সুখটি গেল। কাবাড়িওয়ালা বলিবেন, হা হতোস্মি, আমি তবে খাইব কী, রিসাইকল বিনই ত সকল খাইয়া লইবে! কিন্তু ভাবিয়া দেখুন ইহাতে কত বৃক্ষ বাঁচিবে, কত পাঠক স্বামী গৃহিণীর বাক্যবাণ হইতে বাঁচিবেন। তবে এ ত শুধু মিছে কথা, কোলাহল বঙ্গীয় বইপাড়াটির কাছে। বিশ্বের প্রথম ই-বুকটি প্রকাশিত হইবার আট দশক হইতে চলিল, বাংলায় এখনও উল্লেখযোগ্য আইনসম্মত ই-বুক একটিও প্রকাশিত হয় নাই। কেন? বাংলা হরফ অনুকূল নহে? তবে হাবিজাবি এত বই প্রকাশ না করিয়া উহা লইয়া কর্মশালা করি না কেন? বাঙালি তেমন নেট-স্যাভি নহে? কে বলিল, আন্তর্জালটি খুলুন, বাংলা বই ডাউনলোডের অজস্র সাইট! সরকারি উদ্যোগে গ্রন্থাগারের বই আপলোড করা হইতেছে। নূতন বৎসর আসিতে চলিল, প্রকাশকেরা ভাবুন। এমন দিন আসিলে ক্ষতি কী যে দিন মাঠ-ময়দান গত হইবে, দিব্য জমিবে ভার্চুয়াল বইমেলাটি। |
|
|
|
|
|