|
|
|
|
|
|
খেলা |
উজ্জ্বল প্রবীণ |
উত্তম রায় |
মান বাড়ালেন হাওড়ার প্রবীণরা। এ বারের স্টেট মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স-এ তাঁদের জয়জয়কার। সবই অবশ্য থ্রো ইভেন্টে। সম্প্রতি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ও সাইয়ের মাঠে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশন।
এই প্রতিযোগিতায় থ্রো ইভেন্টসে একাধিক পদক জিতলেন নিভা আদক, তন্দ্রা বসু, বেবি ঘোষ, অমল মিশ্র, গোপাল মালিক, কালীপদ ভৌমিক, দুলাল আহিড়ি, রামপ্রসাদ আটা, মানিক মজুমদার,তারকনাথ পাঁজারা। সব মিলিয়ে ২২টি পদক। ওয়েস্ট বেঙ্গল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব স্বপন দাস জানান, এ বারের প্রতিযোগিতায় প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। |
|
হাওড়ার কাসুন্দিয়ার বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সের নিভা আদক। চার দশকে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে থ্রো ইভেন্টসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিট মিলিয়ে আছে শতাধিক সোনা ও রুপোর পদক। তাঁর কথায়: “দৌড়ে আগ্রহ ছিল। কিন্তু হাওড়ায় দৌড়ের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। কোচ সুনীল দেয়াশি থ্রো ইভেন্টে নিয়ে আসেন। আমাদের এই সাফল্যের সিংহভাগ কৃতিত্ব কোচ সুনীল দেয়াশি, বাসুদেব ধাড়া, সুকুমার মাল, কেষ্ট হাজরা প্রমুখের।”
সাফল্যের কারণ কী?
অনূর্ধ্ব ষাট বিভাগে শটপাট, ডিসকাসে সোনাজয়ী তন্দ্রা বসু বলেন, “এক সময়ে ১০০, ২০০ মিটার দৌড়, হাইজাম্প, লংজাম্প-এ আমরা এগিয়েছিলাম। এখন পরিকাঠামোর অভাবে এ বিভাগে পিছিয়ে গিয়েছি।
তবে থ্রো ইভেন্টস চর্চা বেড়ে গিয়েছে। তাই এই সাফল্য।” |
|
পুরুষদের ৪০ বছর বিভাগে প্রথম বার নেমেই শটপাট, ডিসকাস থ্রোতে জোড়া সোনা জিতলেন রামপ্রসাদ আটা। ১২ বছর বয়সে অ্যাথলেটিক্সের চর্চা শুরু করেন সারদা অ্যাথলেটিক্স সেন্টারে। অবসরের আগে ওপেন অ্যাথলেটিক্স মিটে ১১ বার রাজ্যের সেরা হয়েছেন।
তাঁর কথায়: “আট থেকে আশি সবাই এক সঙ্গে অভ্যাস করি। তাই এই ধারাবাহিক সাফল্য।”
তারকনাথ পাঁজা একটি সোনা ও দু’টি রুপো জিতেছেন। চার দশকেরও বেশি অ্যাথলেটিক্স চর্চা করেছেন। এখনও নিয়মিত দেড়-দু’ঘণ্টা অনুশীলন করেন। তিনি বললেন, “এ বয়সে পুরস্কার পেলে ভাল লাগে। তা ছাড়া এতে নতুন প্রজন্মও বাড়তি উত্সাহ পায়।”
|
—নিজস্ব চিত্র |
|
|
|
|
|