তৃণমূল কর্মীর মায়ের মৃত্যুতে চাপান-উতোর
ক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং তার পরে তাঁর মায়ের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে হাড়োয়ার আটপুকুর গ্রামে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
শনিবার রাতে মির আলি সর্দার নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা হয়। তার পরেই মারা যান তাঁর মা আলেয়া বিবি (৬৭)। পরিবারের পক্ষ থেকে সিপিএমের লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করা হলেও মৃত্যু নিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের লোকজন মারধর করাতেই মৃত্যু হয় আলেয়া বিবির। ঘটনার প্রতিবাদে আজ, সোমবার ওই গ্রামে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ মুকুল রায়, নুরুল ইসলাম প্রমুখের যাওয়ার কথা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি ব্লকে কালো ব্যাজ পরে দলীয় কর্মীদের প্রতিবাদ-মিছিল ও সভা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিপিএম যাবতীয় অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “ওই প্রৌঢ়া অসুস্থ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রৌঢ়ার পুত্রবধূ ন’জনের বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই গ্রামের সিপিএম নেতা তথা প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন মোল্লা খুনের ঘটনায় মির আলির নাম জড়িয়ে যায়। পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক ছিল। মা আলেয়া বিবির অসুস্থতার কথা জানতে পেরে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন মির আলি। তাঁর আসার কথা পুলিশকে জানালে তিনি গ্রামবাসীদের খুনের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কয়েক জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে মির আলির বাড়িতে চড়াও হয়। তত ক্ষণে অবশ্য তিনি পালিয়ে যান। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার ঘণ্টা খানেক পরে মারা যান আলেয়া বিবি।
মির আলির স্ত্রী মাজেদা বিবির অভিযোগ, “সিপিএমের লোকজনই হামলা চালিয়েছে। লুঠপাটও করে। ওরা শাশুড়ি-সহ আমাদের সকলকে মারধর করে। শাশুড়ি কিছু ক্ষণ পরে মারা যান।” তবে, মারধরের ফলে শাশুড়ির মৃত্যুর কথা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি কেন জানাননি সে ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মাজেদা বিবি। দেহটি রবিবার কবরও দেওয়া হয়। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, “ছেলেকে না পেয়ে মায়ের উপরে অত্যাচার চালায় সিপিএমের লোকজন। সে কারণেই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওরা মানুষকে সন্তন্ত্র রাখতে সর্বত্র মারামারি শুরু করেছে।”
অভিযোগ উড়িয়ে হাড়োয়ার সিপিএম নেতা ভুবন মণ্ডল। তাঁর দাবি, “হুমকি দেওয়ায় গ্রামবাসীরা শুধু মির আলিকে ধরতে যান। ভাঙচুরের ঘটনা মিথ্যা। ওই প্রৌঢ়া অসুস্থ ছিলেন। হৃদরোগে মারা গিয়েছেন। মিথ্যা রাজনীতি হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.