কানেক্টিকাট হত্যাকাণ্ডের পর কেটে গেল গোটা এক সপ্তাহ। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জন স্কুল ছাত্রছাত্রী-সহ মোট ২৬ জনের। শুক্রবার সকাল থেকেই স্যাণ্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে চলছিল স্মরণসভা। স্কুল পরিদর্শনেও আসেন অনেকে। সকাল সাড়ে ন’টায় মৃতদের উদ্দেশে ২৬ বার বাজানো হয় স্কুলের ঘণ্টা। এত কিছুর মধ্যেই শনিবারই সামনে এল ওই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অ্যাডাম ল্যানজা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য। জানা গেল কী ভাবে দৈনন্দিন জীবন কাটাত ২০ বছরের ওই যুবক। কোনও বন্ধুবান্ধবই ছিল না তার। প্রায়শই একলা একলাই সময় কাটাত সে। স্কুলে প্রায় রোজই এক জামাকাপড় পরে আসত। কথা বলত না কারও সঙ্গেই। কম্পিউটারে মুখ গুঁজেই সারাদিন কাটিয়ে দিত সে। ভক্ত ছিল ভিডিও গেমের। ‘বন্দুক দিয়ে শত্রু মারার’ খেলাই প্রিয় ছিল তার। |
স্কুলে স্মরণসভা। শনিবার কানেক্টিকাটে। ছবি: রয়টার্স |
বাড়ির বারান্দাটিতেই বেশির ভাগ সময় কাটাত ল্যানজা। সেখানেই রাখা থাকত তার মায়ের সংগ্রহ করা বন্দুকগুলি। এমন অ্যাডাম হঠাৎই ঘটিয়ে ফেলল কানেক্টিকাটের হত্যালীলা। আত্মঘাতী হল নিজেও।
যাতে এ রকম আর হত্যাকাণ্ড না ঘটে তা সুনিশ্চিত করতেই জাতীয় রাইফেলস সংগঠনের সিদ্ধান্ত, সব মার্কিন স্কুলেই এ বার থেকে নিয়োগ করা হবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের। আলাদা করে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে তাঁদের। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে তৈরি হবে ওই রক্ষী বাহিনী। দাবি, বন্দুকবাজের হামলা ঠেকাতে দরকার বন্দুকধারী রক্ষীই। এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই সংগঠনের তরফে জানানে হয় বাজারে ছেয়ে গিয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভয়াবহ, নৃশংস ভিডিও গেম, যা কিশোর মনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করছে। কানেক্টিকাট হত্যাকাণ্ডের মাস খানেক আগেই উইসকনসিন গুরুদ্বার ও অরোরা থিয়েটারে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল বেশ কিছু বন্দুকবাজ। তার রেশ টেনেই এ দিন অস্ত্রআইন কঠোর করার বিষয়ে প্রশাসনের শিথিলতাকেও দুষলেন রাইফেলস সংগঠন কর্তৃপক্ষ। |