মরা মাছেই মহাভোজ। ছবি: সন্দীপ পাল। |
এলাকা জুড়ে পচা আঁশটে গন্ধ। বালির চরে ছড়িয়ে ছোট মরা মাছ। মাছের লোভে নদীর পাড় জুড়ে কাক, শকুন উড়ছে। স্রোতহীন নদীর জলে ভাসছে ফেনার ছোট বড় বুদবুদ। বৃহস্পতিবার এটাই ছিল জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদীর ১ নম্বর স্পার লাগোয়া এলাকার অবস্থা। বিষকাণ্ডের আড়াই দিনেও নদী পরিষ্কারে উদ্যোগ নেই। জলে বিষের প্রভাব কাটাতে মৎস্য দফতরের তরফে এ দিন নদীতে রায়াসনিক ছেটানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। বৃহস্পতিবার সারাদিনই কুয়াশা থাকায় জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়। তার উপরে রাসায়নিক দিলে অক্সিজেন আরও কমে ফের মাছের মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল। প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার মরা মাছ সরানোর পরেও বুধবারও অনেক মাছ জলে ভেসে ওঠে। সেগুলিও দ্রুত সরানো হবে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “বিষিয়ে যাওয়া জলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা হয়েছে। পাড়ও পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মাছের দেহে বিষ পাওয়া গিয়েছে। ফসলের খেতে কীটপতঙ্গ মারার যে বিষ দেওয়া হয় তা দিয়েই মাছ মারা হয়েছে বলে নমুনা পরীক্ষায় জানা গিয়েছে। অন্তত দু’রকমের কীটনাশক মিশিয়ে বিষ তৈরি করে সেগুলি ঢালা হয়েছে। বিষের প্রভাব কাটানোর পাশাপাশি, দ্রুত আবর্জনা পরিষ্কার করার দাবি তুলেছে বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। মরা মাছ খেলে পাখি বা অন্য জীবজন্তুর শরীরে সংক্রমণ হতে পারে জানান সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রাজা রাউত।
|
দলছুট একটি দাঁতাল হাতি গোটা বিকেল দাপিয়ে বেড়াল নকশালবাড়ির নেহালজোত এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে। বন দফতর সূত্রের খবর, ভারত-নেপাল সীমান্তের কলাবাড়ির দিক থেকে হাতিটি নেহালজোতে ঢোকে। তার পরে খেতে ধান না থাকায় বুনো হাতিটি ফাঁকা জমিতেই ঘুরে বেড়ায়। হাতি বার হওয়ার খবর শুনে বহু বাসিন্দা এলাকায় ভিড় করতে থাকেন। বাসিন্দাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে হাতিটি লাগোয়া জঙ্গলে ঢুকেও আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সন্ধ্যার পর হাতিটি টুকুরিয়া জঙ্গলের দিকে ঢুকে গিয়েছে। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ (বন) সুনীল ঘোষ জানান, দলছুট হয়ে হাতিটি নানা দিকে ঘোরাঘুরি করছিল। তবে সেটি কোনও বাড়িঘরের ক্ষতি করেনি।
|
বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় শতাধিক পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটালের আড়গোড়ায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কের ধারে প্রায় দেড়শো বছরের পুরোনো একটি বট গাছ রয়েছে। বুধবার থেকে ওই গাছ থেকে রহস্যজনকভাবে পাখিদের মৃতদেহ পড়তে থাকে। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু গাছ থাকলেও সেইগুলিতে এ জাতীয় ঘটনা ঘটেনি। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির ঘাটাল শাখার সম্পাদক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় পুলিশ, মহকুমা শাসকের পক্ষ থেকে বন দফতরের কাছে ঘটনার তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।” ঘাটালের মহকুমা শাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “আমি খবর পেয়েই বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তদন্তও শুরু হয়েছে।” বন দফতর সূত্রে খবর, ঘুঘু, কোকিল, চড়ুই, পায়রা-সহ প্রায় ১০-১৫ ধরনের পাখি মারা গিয়েছে। চামচিকি ও বাদুড়ও বাদ যায়নি। বন দফতরের ডিএফও (খড়্গপুর) অঞ্জন গুহ বলেন, “পাখিদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই এই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
|
প্রাণী পালন নিয়ে এক প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হল রামনগর ২ ব্লকের সভাকক্ষে। বুধবার এই শিবিরের উদ্বোধন করেন রামনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অরুণ দাস। শিবিরে বালিসাই, সাটিলাপুর, কালিন্দী ও বাদলপুর এই চারটি অঞ্চলের প্রাণী পালকদের নিয়ে বার্ড ফ্লু-সহ গরুবাছুরের বিভিন্ন রোগ, তার প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করেন আনন্দ মাইতি ও প্রবাল মাইতি। |