ঈশ্বর কণা কত রকমের,
বেটিং ঘোষণা বিজ্ঞানীর
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ঈশ্বর কণা আবার শিরোনামে। কারণ, তাকে ঘিরে এ বার বেটিং। যেমন বেটিং হয় ক্রিকেট নিয়ে। অথবা, ব্ল্যাক হোল নিয়ে যেমন বাজি ধরেন এবং হেরে যান স্টিফেন হকিং।
ঈশ্বর কণা নিয়ে এ বার বেটিং ঘোষণা করেছেন কণা পদার্থবিজ্ঞানী টমাসো ডোরিগো। ঈশ্বর কণা ক’রকম? এক না দুই? বাজি এই প্রশ্নে। ডোরিগো জানিয়েছেন, ১০০ ডলার করে পাঁচ জনের সঙ্গে বাজি রাখতে প্রস্তুত তিনি। তাঁর দাবি, ঈশ্বর কণা দু’রকম নয়, এক রকম।
হঠাৎ কেন এমন বাজি? এর মূলে সার্ন গবেষণাগার থেকে প্রচারিত সর্বশেষ খবর। ওখানে ঈশ্বর কণাকে শনাক্ত করছে যে যন্ত্র, সেই ‘অ্যাটলাস’-এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁদের মনে হচ্ছে, ওই কণা আছে দু’জাতের। যাদের ভর ১২৩.৫ এবং ১২৬.৬ গিগা ইলেকট্রন ভোল্ট। গিগা ইলেকট্রন ভোল্ট পারমাণবিক কণাদের ভর মাপার একক। গত জুলাইয়ে মাসে যখন সার্ন থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে ঈশ্বর কণা আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়, তখন কিন্তু সেখানকার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, একটি কণারই চিহ্ন মিলেছে। সেটি প্রাথমিক ঘোষণা। সংগৃহীত তথ্যের বিস্তারিত বিশ্লেষণে এখন অবশ্য দু’জাতের কণার অস্তিত্ব সন্দেহ করা হচ্ছে।
|
সেরা কুড়িতে উত্তরের দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) আয়োজিত জাতীয় স্তরের স্কুলভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়ক মডেল প্রদর্শনীতে সেরা কুড়ির তালিকায় স্থান পেল কোচবিহার কলাবাগান হাইস্কুলের দুই ছাত্রীর মডেল। ১-৭ ডিসেম্বর দাদরা ও নগর হাভেলির সিলভাসা শহরে জওহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিক্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট একজিবিশন শীর্ষক প্রদর্শনীর আসর বসেছিল। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ১৯৫টি স্কুলের ১৯৬ টি মডেল ওই প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। তার মধ্যে সেরা কুড়িটি মডেল বেছে নেন প্রতিযোগিতা আয়োজকরা।
ওই তালিকায় কোচবিহার কলাবাগান হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী রেশমা পারভিন ও কেয়া সাহার তৈরি ‘বায়ুশোধন’ বিষয়ক মডেল জায়গা করে নিয়েছে। কলাবাগান হাইস্কুলের শিক্ষক ও প্রদশর্নী সংক্রান্ত গাইড টিচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিতাভ সরকার বলেন, “এনসিইআরটি’র উদ্যোগে প্রকাশিত প্রদর্শনী বিষয়ক বইয়ে ২০টি সেরা মডেলের বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২ নম্বরে রয়েছে আমাদের ওই দুই ছাত্রীর করা মডেল। আমাদের স্কুলের ছাত্রীদের মডেল ছাড়া রাজ্যের অন্য কোন স্কুলের মডেল ওই তালিকায় নেই। জাতীয় স্তরের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ছাত্রীরাও। তাদের কথায়, “প্রায় এক মাস ধরে ওই প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। জাতীয় স্তরে তা সেরা কুড়ির তালিকায় জায়গা পাওয়ায় ভাল লাগছে।” কল-কারখানা, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন ভাবে নির্গত ধোঁয়াকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দূষণমুক্ত করে বায়ু মণ্ডলে নির্গমনের ব্যবস্থা মডেলে দেখানো হয়েছে। ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সঞ্জয় দাসও ওই প্রদর্শনীর ছাড়পত্র পায়। চরে অব্যবহৃত জমিতে বিকল্প চাষ বিষয়ক মডেল প্রদশর্নীতে নজর কাড়ে। কলাবাগান হাইস্কুলের দু’টি মডেল জাতীয় স্তরের প্রদর্শনীর জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে। |