গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়ি ও দেওরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার মাগুরতি গ্রামে সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত বধূর নাম রাখী মণ্ডল (২১)। ঘটনার সময় স্বামী ধনঞ্জয় বাড়ি ছিলেন না। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে তিনিও কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দু’জনকেই বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা রাখীদেবীকে মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার বসিরহাট এসিজেএমের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
|
রাখী মণ্ডল।
—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে বসিরহাটের পূর্ব সাংবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাখী গোলদারের সঙ্গে বিয়ে হয় মাগুরতি গ্রামের ধনঞ্জয় মণ্ডলের। দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে। রাখীদেবীর কাকা শ্যামলবাবু পুলিশকে জানান, বিয়েতে দাবিমতো যৌতুক দেওয়া হলেও আরও টাকা চেয়ে শ্বশুরবাড়িতে রাখীদেবীর উপরে অত্যাচার করা হত। রবিবারও মারধর করা হয়। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ রাখীদেবী ফোনে বাপের বাড়িতে সমস্ত ঘটনা জানান। এর পরেই তাঁরা রাখীদেবীর মৃত্যুর খবর পান। শ্যামলবাবুর অভিযোগ, রাখীদেবীকে মেরে গলায় দড়ি লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর পরেই পুলিশ শাশুড়ি সুমিত্রা মণ্ডল ও দেওর মাধব মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। যদিও ধনঞ্জয়বাবু বলেন, “স্ত্রী প্রচণ্ড অভিমানী ছিলেন। সামান্য ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়তেন। এ দিন সকালে মেয়েকে নিয়ে মন্দিরে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করা নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে আমি ও ভাই কাজে বেরিয়ে যাই। বাবা-মাও বাড়িতে ছিলেন না। ওই সময়েই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে রাখী।” |