শুভেচ্ছা-বার্তা মমতার, পড়লেন শোভনদেব
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মন কষাকষি চলছে। তবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠ করতে হল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেই। শনিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার লিলুয়ায় ডন বসকো স্কুলের ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন সরকারি মুখ্যসচেতক শোভনদেববাবু। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে না গেলেও পাঠিয়েছিলেন শুভেচ্ছা-বার্তা। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করার জন্য স্কুলের ফাদাররা শোভনদেববাবুকেই অনুরোধ করেন। তিনি তা পাঠ করেও দেন। পরে শোভনদেববাবু বলেন, “ফাদাররা আমাকে বললেন, সরকারের তরফে আপনি এখানে আছেন। আপনি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করলে সকলের ভাল লাগবে।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলেরই কিছু কর্মীর হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন শোভনদেববাবু। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দল বা প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ তিনি। এ ব্যাপারে কালীঘাটে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাঁর দেখা পাননি শোভনদেববাবু। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সফর শেষে তিনি কথা বলবেন বলে শোভনদেববাবুকে আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু এ দিন পর্যন্ত কালীঘাট থেকে ডাক পাননি তিনি। এখনও অপেক্ষা করতে চান শোভনদেববাবু। তাঁর দাবি, ওই ঘটনার নিন্দা করতে হবে দলকে। তার পর থেকে ১১ দিন কেটে গেলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শোভনদেববাবু ও তাঁর অনুগামীরা। |
পুলিশি নিগ্রহ নিয়ে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মিথ্যা অভিযোগে গ্রামবাসীদের আটক করা হয়েছে এই অভিযোগে বারাসত থানায় বিক্ষোভ দেখাল একদল গ্রামবাসী। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় একটি চিটফান্ড সংস্থা থেকে প্রতারিত হয়েছেন বেশ কিছু গ্রাহক। কিছু দিন আগেই ওই চিটফান্ড সংস্থার কর্তা দীনেশ কীর্তনিয়া এলাকা থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু তারপর দীনেশবাবুর পরিবারের লোকেরা বাগদা থানায় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার রাতে বাগদা থেকে ৪ জন গ্রামবাসীকে আটক করে। পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “একটি অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামবাসীদের আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের আনা প্রতারণার অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।” |
ফাঁকা বাড়িতে চুরি ডুমুরজলায় |
মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সপরিবারে আমতার বাড়িতে গিয়ে ছেলে খবর পেলেন সর্বস্ব চুরি হয়ে গিয়েছে তাঁর ডুমুরজলার বাড়ি থেকে। তড়িঘড়ি ফিরে দেখলেন বাড়ির দরজা ভেঙে চুরি গিয়েছে নগদ টাকা ও সোনার গয়না। লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে আলমারি, বিছানাপত্র এমনকী রান্নাঘরও। হাওড়ার ডুমুরজলা এলাকার মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডের বাসিন্দা অজিত বোধক পুলিশকে জানিয়েছেন, বাড়িতে ছিল প্রায় ১৩ ভরি সোনা ও নগদ ১ লক্ষ টাকা। চুরি হয়ে গিয়েছে সবই। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাস তিনেক আগেও ওই এলাকায় এক মহিলার হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছিল। হামেশাই গাড়ি চুরির ঘটনাও ঘটছে। তা-ও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। হাওড়ার ডিসি সদর নিশাত পারভেজ বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চুরি-ছিনতাই মোটেই বাড়েনি। রাতে পুলিশি টহলদারি থাকে। এলাকাবাসীকেও রাত-পাহারার ব্যবস্থা করতে বলেছি।” |