মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা-মামলার শুনানি শুক্রবার শেষ হল না। ১৪ ডিসেম্বর, আগামী শুক্রবার ফের শুনানি হবে।
এ দিকে শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। অর্থাৎ যাঁর বেঞ্চে মামলাটি উঠেছে, সেই বিচারপতি প্রতাপ রায় তখন আর হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন না। তাই সে দিন বিচারপতি প্রতাপ রায় ও বিচারপতি সুবল বৈদ্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে কি না, অনিশ্চিত। কারণ নতুন প্রধান বিচারপতি-ই ঠিক করবেন, কোন বেঞ্চ মামলাটি শুনবে।
এ দিন অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, এই মামলায় দু’টি টিভি চ্যানেল আগের বেঞ্চে সিডি জমা দিলেও তিনি হাতে পেয়েছেন একটি। সেটাও ভাল ভাবে দেখে উঠতে পারেননি। তাঁর বক্তব্য: মুখ্যমন্ত্রী বিচার-ব্যবস্থা সম্পর্কে গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আদালতের অবমাননা করেছেন, তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিচারপতি রায় বলেন, বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলাকালীন আগাগোড়া সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি অসীম মণ্ডল। বিচারপতি সেনগুপ্ত উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে বদলি হলেও বিচারপতি মণ্ডল কলকাতা হাইকোর্টে রয়েছেন। তাঁকে রেখে কোনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়া উচিত কি না, তা-ও ভাবা দরকার, মনে করেন প্রতাপবাবু।
আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারপতি রায়ের আলোচনা চলাকালীন এক যুবক বিচার-ব্যবস্থার দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। তাঁর প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে হচ্ছে না কেন? ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস নামে বোলপুরের ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তিনি ক্ষমা চাইলে বিচারপতি রায় তাঁকে মার্জনা করে দেন। |