টোল আদায় নিয়ে বচসার জেরে গাড়ি চালককে মার। তার জেরে পাল্টা মার, হামলা, ভাঙচুর হল টোলপ্লাজায়।
শনিবার সকালে বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে সদরঘাটে বর্ধমান-আরামবাগ রাজ্য সড়কের টোলপ্লাজায় ঘটনাটি ঘটে। টোল আদায় বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ত দফতরের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, তারা পাহারা না দিলে টোল আদায় আর করা যাবে না।
নতুন ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে তৃণমূল আশ্রিত অস্থায়ী কর্মীদের বাধায় ইতিমধ্যেই টোল আদায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের তিনটি টোলপ্লাজায়। বিপুল ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। রাজ্যের টোলপ্লাজাগুলি কী ভাবে চলছে, এ দিনের ঘটনায় তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল।
ঘটনার সূত্রপাত রায়নার পলাশন থেকে বাঁকুড়া মোড়ের দিকে যাওয়া একটি ধান বোঝাই ম্যাটাডর নিয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পলাশনের শেখ সিরাজুল গাড়ি নিয়ে চালকলে যাচ্ছিলেন। ২০ টাকা টোল ধার্য হলেও তিনি ১০ টাকা দিতে চান। এই নিয়ে বচসার জেরে টোলপ্লাজার কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। হাতে চোট পান তিনি। ক্ষিপ্ত সিরাজুল গাড়িটি আড়াআড়ি ভাবে রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে দেন। যানজট বেধে যায়। |
সিরাজুলের ফোন পেয়ে এসে পড়েন তাঁর বন্ধু ও পাড়াপড়শিরা। টোলপ্লাজার অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
কিন্তু ঘটনার পরেই টোলপ্লাজার কর্মীরা সরে পড়েছেন। তবে পুলিশের দাবি, প্লাজার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে নানা রকম রসিদ। সে কারণে আপাতত টোল আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ওই প্লাজার বিরুদ্ধে নানা অঙ্কের রসিদ দিয়ে টোল আদায় এবং টাকার বড় অংশ সরকারের ঘরে জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আপাতত পদস্থ পুলিশ অফিসারদের নির্দেশে টোল আদায় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”
বর্ধমানের মহকুমাশাসক (উত্তর) প্রদীপ আচার্য বলেন, “ওই জায়গায় পূর্ত দফতর নিজেই টোল আদায়ের দায়িত্ব পালন করে। আদায় হওয়া টোল জমা পড়ে সরকারি কোষাগারে। তাই পূর্ত দফতরকেই বলা হয়েছে, প্লাজার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। তারা জানিয়েছে, সোমবার এই নিয়ে বৈঠক করবে।”
পূর্ত দফতরের টোল আদায়কারী অফিসার অঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “১৯৭৮ যখন টোল আদায় শুরু হয়, তখন ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা টোল নেওয়া হত। ২০০০ সালে কর বাড়িয়ে ৪ টাকা থেকে ৫০ টাকা করা হয় বিভিন্ন যানের জন্য।” দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর দাবি, “এর আগে বেশ কয়েক বার প্রশাসন তদন্ত করেছে। কিন্তু দুর্নীতির কোনও প্রমাণ মেলেনি।” পুলিশ টোলপ্লাজা বন্ধ রাখার কথা বললেও মহকুমাশাসক বলেন, “টোল আদায় যেমন চলছে তেমনই চালানো হবে। তা বন্ধ থাকবে কেন?” পূর্ত দফতরের অঞ্জনবাবুর বক্তব্য, “এই ঘটনার পরে আমরা পুলিশ সুপারকে জানিয়ে দিয়েছি, ওখানে পাহারা না বসালে আমাদের পক্ষে আর টোল আদায় করা সম্ভব হবে না।” বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা রাতে বলেন, “আমার হাতে এখনও ওঁদের কোনও চিঠি আসেনি। চিঠি পেলে বিবেচনা করব।” |
বর্ধমানের জামুড়িয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে সুভাষ মণ্ডল (৪৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পারিবারের দাবি, সুভাষবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে গায়ে আগুন লাগান। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। |