|
|
|
|
বিনোদন |
অন্য আমিরের ‘তলাশ’ শুরু শহরে
প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত • কলকাতা
|
|
|
কেউ বলছেন ‘তলাশ’ গেম চেঞ্জার। কেউ বলছেন থ্রিলার হিসেবে সিনেমাটা খুবই ধীরগতির। এবং শেষটা খুব ব্যতিক্রমী। শহরে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘তলাশ’। ‘গজনি’ বা ‘থ্রি ইডিয়ট্স’-এর মতো দুর্ধর্ষ ওপেনিং না পেলেও ‘তলাশ’ নিয়ে আলোচনা চলছে শহরের সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে। অনেকের মতে, আমির অভিনেতা হিসেবে একশো শতাংশ সফল। নিজের পরিচিত সুপারস্টার ইমেজ ভেঙে একেবারে অন্য রকমের একটা ছবি করার যে সাহস তিনি দেখিয়েছেন, তাতে খুশি অনেকেই।
আমিরের শেষ মূলধারার বলিউড সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়ট্স’ রিলিজ করেছিল ডিসেম্বর ২০০৯-এ। আগের সব রেকর্ড ভেঙে ছবিটি লাভ করে ২০২ কোটি টাকা। এর পরের ‘নিশ্ সিনেমা’টি ছিল ‘ধোবিঘাট’। রিলিজ করেছিল ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ‘তলাশ’ নিয়ে দর্শকের মনে প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল অনেকটাই।
‘তলাশ’-এর সঙ্গে জড়িত সূত্রের খবর, ছবিটি কোনও ছুটির দিনে রিলিজ করেনি। বেশির ভাগ খানদের সিনেমাই ঈদ, দিওয়ালি বা বড়দিনের শুক্রবারে মুক্তি পায়। অথবা আইপিএল মরসুমের শেষে। কারণ, ছুটির দিনগুলোতেই বক্স অফিসের ব্যবসা বেশি হয়। আমিরের এই শুক্রবারের বক্স অফিস সাফল্য সমস্ত হিসেবনিকেশকে ভেঙে দিয়েছে। প্রথম দিনের ব্যবসা দেখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রথম দিনেই দেশে এই সিনেমা ১৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলবে।” সূত্রের খবর, ‘বরফি’ ও ‘কহানি’ও কোনও ছুটির শুক্রবারে রিলিজ করেনি। কিন্তু প্রথম দিন ‘বরফি’ সাড়ে আট কোটি টাকার ব্যবসা করে। ‘কহানি’ করে ৮০ লক্ষ টাকার। |
হিটের খোঁজে। বক্স অফিসে
‘তলাশ’-এর প্রথম দিন। |
আমিরের পোস্টারে স্বস্তিকার চুমু।
শুক্রবার। ছবি: এবিপি আনন্দ |
|
আইনক্স-এর পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক অধিকর্তা শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “শহরে শাহরুখ খানের ‘জব তক হ্যায় জান’-এর মতো ওপেনিং ‘তলাশ’ পায়নি। ‘জব তক’ রিলিজ করেছিল দিওয়ালিতে। যশ চোপড়ার মৃত্যু ও তাঁর শেষ সিনেমা হওয়ায় ছবিটি নিয়ে দর্শকের আশা ছিল বেশি। সিনেমাটা রিলিজের চার দিন আগে থেকেই আমাদের সব ক’টা প্রথম শো বুক হয়ে যায়। ‘তলাশ’-এর ক্ষেত্রে সিটি সেন্টার আর আইনক্স ফোরামে প্রথম চারটে শো-এর মধ্যে দুটো হাউসফুল হয়। আশা করছি, কিছু কিছু শো-তে শনি-রবিবারও টিকিট মিলবে।”
শহরের বেশির ভাগ মাল্টিপ্লেক্সগুলোতেই এক ঘণ্টা পর পর ১২টা করে শো চলছে ‘তলাশ’-এর। শুভাশিসের মতে, “আমিরের ‘তারে জমিন পর’ও প্রথম দিকে খুব আস্তে ব্যবসা করেছিল। পরে ব্যবসা বাড়ে। তবে ছবিটা অনেক দিন চলেছিল।” এর জেরেই ‘গজনি’র প্রথম শো বিশাল দর্শক টানে। ‘থ্রি ইডিয়ট্স’-এর ক্ষেত্রেও ব্যবসা চিত্রটা ছিল একই রকম। আমার ধারণা ‘তলাশ’ও ‘তারে জমিন পর’-এর মতোই ব্যবসা করবে।” ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শের কথায়, “ছবিটি মাল্টিপ্লেক্সগুলোয় বিশাল ভাবে রিলিজ করেছে। দেশব্যাপী শহর এলাকায় এর ওপেনিং ভালই হয়েছে। হাই এন্ড মাল্টিপ্লেক্সগুলোর প্রথম শো দারুণ চলেছে। কিন্তু শহরের বাইরে চলছে মোটামুটি। ডিস্ট্রিবিউটররা জানতেনই যে মূল ব্যবসাটা হবে মাল্টিপ্লেক্স আর টায়ার টু সেন্টারগুলো থেকে। কিন্তু সিঙ্গল স্ক্রিনে আশানুরূপ ভাবেই ব্যবসা কম হয়েছে। তবে মাল্টিপ্লেক্স পুষিয়ে দেবে।”
ফেম সাউথ সিটিতে ২৩ বছরের সৌরভ মুখোপাধ্যায় গত রবিবার তলাশের টিকিট কেটেছিলেন। তাঁর কথায়, “এত জটিল একটা চিত্রনাট্য কিন্তু কি সুন্দর ভাবে পরিচালক সেটাকে ফিল্ম করেছেন। শুধু আমিরের পক্ষেই সম্ভব এমন একটা মূলধারার ছবি করা। রানি মুখোপাধ্যায়ও অনবদ্য। রাম সম্পতের মিউজিক সিনেমার আবহের সঙ্গে মিশে গিয়েছে অসম্ভব সুন্দর ভাবে।” কলেজ পড়ুয়া মালিনী ঘোষ শুক্রবার দাদার সঙ্গে গিয়েছিলেন প্রথম শো দেখতে। বললেন, “এটা সাধারণ থ্রিলার নয়। আমির তো ভালই, করিনাও। বলিউড নাসিরুদ্দিনের পরে আরও এক জন ভাল অভিনেতাকে পেল, তিনি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।”
এই সিনেমায় দালালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দিন। তাঁর কথায়, “আমাদের মতো অভিনেতাদের জন্য ‘তলাশ’ একটা নতুন জায়গা তৈরি করে দিল বলিউডে। এর পুরো কৃতিত্বই আমিরের।” তবে দর্শকদের একাংশের মতে সিনেমাটি থ্রিলার হিসেবে একটু ধীরগতির। তবে এর উল্টো সুরে কথা বলছেন ‘তলাশ’-এরই আর এক অভিনেতা সুব্রত দত্ত। এখন শু্যটিংয়ে ব্যস্ত বাংলাদেশে। সেখান থেকেই জানালেন, আমির প্রথম থেকেই চিত্রনাট্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। এই ছবিটার জন্য এই গতিটাই একদম ঠিক।
তরণ বলেন, “এই ছবিটার একটা অন্য মুড আছে। অন্য ‘মশলা’ ছবির মতো করে এটা তৈরি সম্ভব নয়। আমিরকে সেলাম এই ছবিতে অভিনয় করার জন্য। এর পরের ছবিটাই আবার ‘ধুম থ্রি’। এখানেই আমির ইউনিক।”
|
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভূপেন হাজরিকার বিচিত্র সফরের
ঘনিষ্ঠ
সঙ্গী ছিলেন আলোকচিত্রী সমীর চৌধুরী। গুয়াহাটির রাজ্য আর্ট গ্যালারিতে এই সঙ্গীতশিল্পীর
৭৪টি নানা ধরনের ছবির প্রদর্শনীর সামনে সমীরবাবু। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র |
|
...চিনিতে পারো কি না
দেখো তো চেয়ে: চুল-দাড়ি আর ঈষৎ দীর্ঘ দু’টি দাঁত নিয়ে ইনিই কি
‘মহাপুরুষ’ ব্রাত্য বসু!
এ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী! বড় বিস্ময় লাগে।
শুক্রবার,
নরেন্দ্রপুরে। ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|
|