এ যেন আগুন আর জলের সহাবস্থান।
বরফের টুপি পরে রয়েছে সৌর পরিবারের উষ্ণতম গ্রহ, এ বিষয়ে আর সন্দেহ নেই নাসার। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করে জানালেন, সূর্যের সব চেয়ে কাছের গ্রহ বুধের মেরু অঞ্চলে রয়েছে এমন সব বিশালাকার গহ্বর, যা ভরে রয়েছে বরফের পুরু স্তরে। আর বিজ্ঞানীদের এ খবর এনে দিয়েছে নাসার মহাকাশযান ‘মেসেঞ্জার’।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১০ হাজার কোটি থেকে ১ লক্ষ কোটি টন বরফ মজুত রয়েছে বুধের মেরু অঞ্চলে। তা যদি শুধু ওয়াশিংটন ডিসি ঢেকে ফেলে, বরফের গভীরতাই হবে প্রায় আড়াই মাইল।
বুধের বিষুবরেখা বরাবর তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু গ্রহটির মেরু অঞ্চলে এমন কিছু গহ্বর রয়েছে, যেখানে কখনই পৃথিবীর আলো পৌঁছয় না। আর উষ্ণতা, -৩৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও নীচে। গোটা গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ পত্রিকায়। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডেভিড জে লরেন্স বলেন, “এই গ্রহের মধ্যে এমন সব গুপ্ত কুঠুরি রয়েছে, যাতে প্রতিনিয়ত দারুণ কিছু ঘটে চলেছে।”
বরফ যে রয়েছে, আগেই তা অনুমান করেছিলেন গবেষকরা। বছর দশেক আগে বুধের অসম্ভব উজ্জ্বল অংশ ধরা পড়েছিল দূরবীক্ষণ যন্ত্রে। তখনই তাঁদের মনে সন্দেহ জাগে, জল নয় তো! কিন্তু সিলিকেটের যৌগও হতে পারে, এমন একটা আশঙ্কা ছিল। সেটাই সত্যি হল, দাবি বিজ্ঞানীদের।
কী ভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন বিজ্ঞানীরা? ২০১১-র মার্চ থেকে বুধের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে তার উপর কড়া নজর রাখছে মেসেঞ্জার। আর বুধের চার পাশে ভাসতে থাকা নিউট্রন কণার স্রোতের সংখ্যা হিসেব করছে। উচ্চ শক্তি সম্পন্ন কসমিক রশ্মি ভেঙে ফেলে পরমাণুকে। ধ্বংসস্তূপে পড়ে থাকে নিউট্রন। কিন্তু এই নিউট্রন যখন সমান ওজনের হাইড্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তখন পুরোপুরি থেমে যায়। এবং ভাসতে থাকে। জলের অণুতে দু’টি হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। দেখা গিয়েছে, বুধের যে অঞ্চলে বরফের স্তর রয়েছে, সেখানে ভাসমান নিউট্রনের সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছে। “একমাত্র বরফ-জল থাকলেই এমন হতে পারে”, বলছেন সলোমন। তিনি কলোম্বিয়ার ল্যামন্ট ডোহারটি আর্থ অবজারভেটরির বিজ্ঞানী। তিনি আরও বলেন, বরফের মধ্যে প্রায় বিশুদ্ধ জল রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বুধে এমন বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বরফ বাষ্পীভূত অবস্থাতেও থাকতে পারে। তাঁরা বলছেন, কোটি কোটি বছর আগে যখন পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়নি, হয়তো এমনই আবহাওয়া ছিল। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অন্যতম প্রয়োজন জল তো আছেই। বিষুবরেখার ঝলসানো গরম আর মেরু অঞ্চলের জমে যাওয়া ঠান্ডার মধ্যেও হয়তো মাটির বেশ নীচে এমন জায়গা আছে, যেখানে জনবসতি গড়া সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদ ডেভিড পেজ বলছেন, “কৌতূক করছি মনে হতে পারে, কিন্তু এটা পাগলের প্রলাপ নয়, সত্যি!” |
‘হ্যাক’ হল সিব্বলের সরকারি সাইট
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ইন্টারনেট হানাদারদের হামলা থেকে বাদ পড়ল না কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী কপিল সিব্বলের সরকারি সাইটও। সরকারি সূত্রে খবর, শুক্রবারই তাঁর সরকারি সাইট ‘হ্যাক’ করেছে ‘অ্যানোনিমাস’ নামে এক হ্যাকার-গোষ্ঠী। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী মিলিন্দ দেওরার মতে, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের অন্তত ২৯৪টি সাইট হ্যাক করা হয়েছে। তাঁর দাবি, সাইবার-নিরাপত্তা মজবুত করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র। তবে এই ঘটনা প্রমাণ করল হ্যাকারদের হামলার সামনে কতটা দুর্বল সরকারের সাইবার-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সরকারি সূত্রে খবর, সিব্বলের সাইটের ‘অ্যাবাউট পেজ’টি খুললে দেখা যাচ্ছে পরিষ্কার ভাষায় লেখা, “পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বোকা কপিল সিব্বল। ......... কম বুদ্ধি নিয়ে জন্মে তিনি মনে করেছিলেন ইন্টারনেট নিয়ে নাড়াচাড়া করবেন আর তাঁর দলের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা বাক্স্বাধীনতা খর্ব করবেন।” |