সিঙ্গুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী |
আজ সিঙ্গুর সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিঙ্গুরে নতুন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতিমধ্যেই কলেজের জন্য ৫ একর জমি পাওয়া গিয়েছে। সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হবে একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলকে। একশো দিনের কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছর কাজ হয়েছিল ১১ দিন, এ বছর কাজ হয়েছে ২৯ দিন। আবার কৃষকদের উদ্দেশে তাঁর ঘোষণা, চাষের কাজে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ভর্তুকি দেওয়া হবে। জমি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা মিটলেই জমি ফেরত দেওয়া হবে। জেলাশাসক অসুস্থ ছিলেন বলেই অনিচ্ছুক কৃষকদের টাকা দিতে দেরি হয়েছে। তবে এ বার থেকে প্রতি মাসেই তারা টাকা পেয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
|
গুজরাতে সম্মুখ সমরে মোদী-শ্বেতা |
গুজরাতের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি-কে ‘চাপে’ রাখতে মোদীর বিধানসভা কেন্দ্র মণিনগর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন বরখাস্ত আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভট্টের স্ত্রী শ্বেতা ভট্ট। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে ওই দিনই মধ্য আমদাবাদ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে শ্বেতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে মোদী তাঁর কেন্দ্র বদল করে পুরনো কেন্দ্র মণিনগর থেকে মনোনয়ন জমা দেন কি না সেটা দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক শিবির। প্রসঙ্গত মণিনগর কেন্দ্র থেকেই ২০০৭-এ নরেন্দ্র মোদী প্রায় ৭৫ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এ দিকে, প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী হরেন পান্ডের স্ত্রী-ও কেশুভাই পটেলের নবনির্মিত দলের হয়ে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
|
উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়তি দায়িত্ব মুকুলকে |
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে আজ নিজের বাসভবনে দলীয় নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে। ওই জেলায় দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে ও তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল রুখতে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক শিবিরের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো অস্বস্তিতে মা-মাটি-মানুষের সরকার। দলের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয় এবং মানুষের কাছে যাতে কোনও ভুল বার্তা না পৌঁছয় তারই চেষ্টা বলে মত একাংশের। এই জেলায় ২০০টির বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২২টি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বিশাল কর্মক্ষেত্রে সাংগঠনিক শক্তিকে মজবুত করতে মুকুল রায়কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তা ছাড়া, মুকুল রায় এখানকার ভূমিপুত্র। আর এই ক্যারিশমাকেই কাজে লাগিয়ে জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘুটি সাজাচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, ধারণা রাজনৈতিক শিবিরের। |