দেহদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চারিদিকে বারবার আলাপ-আলোচনা সত্ত্বেও সচেতনতার অভাব রয়েই গিয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে বা অঙ্গহারা মানুষকে সম্পূর্ণ করতে এর মূল্য কতখানি তা জানার পরেও অনেকেই স্বতস্ফূর্ত ভাবে এই কাজে এগিয়ে আসতে পারেন না। সমস্যা মূলত দু’টো। সচেতনতার অভাব তো বটেই, এর সঙ্গেই রয়েছে পরিজনদের ইচ্ছে-অনিচ্ছে। মৃত্যুর পরে দেহের এক্তিয়ার তো পরিজনদের। তাই দেহদানের অঙ্গীকার সত্ত্বেও অনেক সময়েই দেহ কাজে লাগানো যায় না। |
চলছে আলোচনা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
এই সমস্ত বিষয় নিয়েই পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মেদিনীপুর শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহরের জেলা গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে মরণোত্তর দেহদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আয়োজিত এই সভায় হাজির ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের শারীরসংস্থান বিভাগের প্রধান সুকন্যা পালিত, বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন মাইতি, জেলা কার্যকরী সভাপতি নন্দদুলাল ভট্টাচার্য প্রমুখ। সভায় দেহদানের অঙ্গীকার করে ২৬ জন তাঁদের অঙ্গীকারপত্র মঞ্চের কাছে জমা দেন। আরও প্রায় ১০০ জন অঙ্গীকারপত্র সংগ্রহ করেন। সভার উদ্যোক্তাদেরও বক্তব্য, মৃত্যুর পর চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে দেহ দান করলে তা মানবজাতির কল্যাণে লাগতে পারে। কারণ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য ‘অটোপসি’ তথা সচক্ষে দেখা অপরিহার্য। তাই সনাতন সৎকারের প্রথা না মেনে মরণোত্তর দেহকে ব্যবচ্ছেদের জন্য দান করা উদার ও মুক্তি চিন্তার প্রতীক। তবে মরণোত্তর দেহদানের আন্দোলনকে আরও প্রসারিত করার জন্য সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করে বিজ্ঞান মঞ্চ। মঞ্চের জেলা কার্যকরী সভাপতি নন্দদুলাল ভট্টাচার্য বলেন, “দেহদানের প্রয়োজনীতা নিয়ে সর্বত্র প্রচার করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে। আগ্রহী ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।” তাঁর কথায়, “আমরা যদি মানুষকে বোঝাতে পারি, আগ্রহী ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে পারি তবেই দেহদানের আন্দোলনকে প্রসারিত করতে পারব।”
মেদিনীপুর শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে এই প্রথম শহরে মরণোত্তর দেহদানের প্রয়োজনীতা নিয়ে আলোচনা সভা হল। শহর কেন্দ্রের সম্পাদক বাবুলাল শাসমল বলেন, “আমরা বছরভরই নানা কর্মসূচী করি। তবে মরণোত্তর দেহদানের প্রয়োজনীতা নিয়ে আলোচনা সভা এই প্রথম। এমন কর্মসূচী আগামী দিনেও হবে।” তাঁর কথায়, “আগের থেকে সচেতনতা বেড়েছে। তবে দেহদান নিয়ে আরও সচেতনতা জরুরি।” রবীন্দ্রনাথের ‘আপনারে দান সেই তো চরম দান’- এই কথাকেই পাথেয় করে এগিয়ে চলেছেন তাঁরা।
|
এক বিশালাকার কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেলেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। পৃথিবী থেকে এই কৃষ্ণগহ্বরটির দূরত্ব প্রায় ২৫০ কোটি আলোকবর্ষ। এর ভর অন্তত ১৭০ কোটি সূর্যের মোট ভরের সমান। এনজিসি-১২৭৭ নামের একটি ছায়াপথের মধ্যে পারসিউস নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ এই সদ্য আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটি। এই গবেষকদলের প্রধান কার্ল গেব্রাটের জানান, নেপচুন যে বিশাল কক্ষপথ ধরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, এই কৃষ্ণগহ্বরটির আয়তন সেটির চেয়ে অন্তত ১১ গুণ বড়। |