|
|
|
|
এসএমএস-কাণ্ড,
ত্রিপুরায় ধৃত উপজাতি নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
এসএমএসের মাধ্যমে ‘বিভ্রান্তি এবং উত্তেজনা’ ছড়ানোর অভিযোগে আইএনপিটির এক নেতা গ্রেফতার হওয়ায় কংগ্রেসের জোট সঙ্গী আইএনপিটি এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। আইএনপিটি’র ধৃত নেতাকে ছাড়াতে দলের বহু সমর্থক আজ সকাল থেকে কিল্লা থানায় বিক্ষোভ দেখান। দলীয় নেতা এবং সমর্থকেরা দফায় দফায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও করেন। রাত পর্যন্ত ধৃত নেতা পূর্ণ চন্দ্র জমাতিয়াকে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি বলে থানা সূত্রে জানা যায়। আভাস মিলেছে, এসএমএসকে কেন্দ্র করে বেঙ্গালুরুর ঘটনার পর ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি।
ধৃত আইএনপিটি নেতা পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া কিল্লা অঞ্চলে দলের বিভাগীয় সভাপতি। কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
ককবরক ভাষায় একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসএমএস পাঠানোর অভিযোগে রাজ্য পুলিশের সিআইডি আইএনপিটি’র ওই নেতাকে গোমতীর জেলার কিল্লা অঞ্চল থেকে গত কাল গ্রেফতার করে। এসএমএসের বিষয়টি হল রাজ্য সরকার নাকি উপজাতি অঞ্চলের জমি অনুপজাতি মানুষদের মধ্যে বন্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনাধিকার আইনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি উপজাতিদের ক্ষেত্রে খুবই স্পর্শকাতর বলে মনে করে পুলিশ প্রশাসন। গত মার্চে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিল্লা থানার ওসি বলেন, ‘‘বিষয়টির তদন্তের ভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। তারাও স্পর্শকাতর বিষয়টি অনুসন্ধান করে জানতে পারে তথ্যটি ঠিক। এরই ভিত্তিতে আইএনপিটির ওই নেতাকে সিআইডি গ্রফতার করে।’’ এ দিকে, আইএনপিটির রাজ্য সভাপতি বিজয় রাংখল ব্যাপারটি “সম্পূর্ণ ভাবে একটি ষড়যন্ত্র” বলে মন্তব্য করেছেন। |
|
|
 |
|
|