ইয়েওয়াড়া জেলে কাসভের ফাঁসি |
অবশেষে ফাঁসি হল ২৬/১১ মুম্বই হামলার ঘটনায় ধৃত জঙ্গি আজমল আমির কাসভের। মুম্বইয়ের ইয়েওয়াড়া জেলে আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ফাঁসি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আর পাটিল। এই ফাঁসির প্রক্রিয়ার সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন এক্স’। গোপনীয়তা রক্ষার জন্যই এই সাংকেতিক নাম দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রসচিব। ফাঁসির পর জেলের ভিতরেই কবর দেওয়া হয় তাকে। এই গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে ভারতে অবগত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইবি ও এনএসএ প্রধান-সহ ৬জন। চিকিত্সকেরা কাসভকে মৃত ঘোষণা করার পর সকাল ৭টা ৪৬ মিনিট নাগাদ এই বার্তা পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক মারফত পাকিস্তানকে ফাঁসির খবর জানিয়ে চিঠি পাঠানো হলে পাকিস্তান তা খারিজ করে দেয়। এরপর ফ্যাক্স মারফত পাকিস্তানকে এই বার্তা পাঠানো হয়।
২০০৮-এর ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় কাসভ-সহ ১০ লস্কর জঙ্গি। এই সন্ত্রাসবাদী হানায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের। দীর্ঘ চার বছরের টানাপোড়েনের পর অবশেষে ফাঁসি হল মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভের। মুম্বইয়ে ট্রায়াল কোর্টে কাসভকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই আদেশ বহাল রাখে মুম্বই হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত অক্টোবরে কাসভের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ৮ নভেম্বর কাসভের ফাঁসির দিন ঠিক করা হয়। ফাঁসির জন্যই ৪ নভেম্বর তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫ নভেম্বর ফের কাসভের মুক্তির আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। ৭ নভেম্বর ফাইলে সই করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে। এরপরে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় পুণের ইয়েওয়াড়া জেলে। যাবতীয় সরকারি আইনবিধি মেনেই ফাঁসির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। ক্যুরিয়ার মারফত বার্তা পাঠানো হয়েছে কাসভের পরিবারকেও। নিরাপত্তার খাতিরে আজ মহারাষ্ট্র ও কলকাতায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
|
রাজ্য মন্ত্রিসভায় নতুন ৮ মুখ |
সরকারের দেড় বছর পূর্ণ করার পর রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নতুন ৮ জনকে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি পুরনো মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্যেরও আজ পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। দফতর অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা:
• ক্রীড়া ও পরিবহণ দফতরের পূর্ণমন্ত্রী—মদন মিত্র
• আবাসন ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী—অরূপ বিশ্বাস
• কৃষি মন্ত্রী—মলয় ঘটক
• কৃষি ও শিশুবিকাশ প্রতিমন্ত্রী—বেচারাম মান্না
• পর্যটন মন্ত্রী — কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী • সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী—রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
•
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী—সুব্রত সাহা
• উদ্বাস্তু পুনর্বাসন মন্ত্রী—মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর
• পরিসংখ্যান
ও পরিকল্পনা মন্ত্রী—রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য • পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী—রচপাল সিংহ
• স্বাস্থ্য দফতর ও আইনমন্ত্রক প্রতিমন্ত্রী—
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
• ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিমন্ত্রী—স্বপন দেবনাথ
• প্রাণীসম্পদের প্রতিমন্ত্রী—হুমায়ুন কবীর
•
স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী— মন্টুরাম পাখিরা
প্রসঙ্গত রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন শ্যামল মণ্ডল।
|
পরিবহণ কর্মীর আত্মহত্যার চেষ্টা |
ফের আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক সিটিসি কর্মী। নেতাজীনগর বারাসতে নিজের বাড়িতেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গোপাল দে নামে বছর ৪২-এর ওই ব্যক্তি। বেলগাছিয়া ট্রামডিপোয় কর্মরত গোপালবাবু দীর্ঘ ৩ মাস ধরে যাবতীয় বকেয়া বেতন পাচ্ছিলেন না। তীব্র অনটনেই আত্মহননের পথ বেছে নেন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ওই ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। আজ সকালে আর্জিকরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। দেহের ৯০ শতাংশই পুড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। |