গভীর রাত। গ্রামে ডাকাত পড়েছে। টের পেয়ে চিৎকার জুড়ে দেন দু’ভাই। তাতেই বিপত্তি। কাজে ব্যাঘাত ঘটায় দু’ভাইয়ের মাথায় ভোজালি বসিয়ে দিল ডাকাতরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জনের। অন্য জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভার নোদাখালি থানার বুড়ুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে ঘণ্টাপাঁচেক বুড়ুল মেন রোড অবরোধ করেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, বেশ
|
শিবু দে |
কিছু দিন ধরেই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে এবং পুলিশ একেবারে নিষ্ক্রিয়।
পুলিশ জানায়, নিহতের নাম শিবু দে (৪২)। বুড়ুল গ্রামের বাসিন্দা স্বর্ণব্যবসায়ী নির্মল মাইতির দোকানে শাটার ভেঙে লুটপাট করতে ঢুকেছিল ডাকাতদল। দোকানটি শিবুবাবুর বাড়ির কাছে। বাড়িতে লোকজন থাকায় রাতে নিজের দোকানে ঘুমোতে যাচ্ছিলেন শিবুবাবু। মাঝপথে ডাকাতদলের মুখে পড়েন রাত আড়াইটে নাগাদ।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের নির্জন, অন্ধকার রাস্তার এককোণে হাত-পা বেঁধে শিবুবাবুকে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। পড়শিদের সতর্ক করতে চিৎকার জুড়ে দেন তিনি। দাদার গলা পেয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন প্রশান্তবাবু। তিনিও চিৎকার করতে থাকায় দু’ভাইয়ের মাথায় কোপ মারে ডাকাতরা। আশপাশের বাড়ির লোক বেরিয়ে আসার আগেই কাজ হাসিল করে পালায়। মুচিশা হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিবুবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সোনার দোকানের মালিক নির্মলবাবুর অভিযোগ, সাত ভরি সোনা, দেড় কিলোগ্রাম রুপো, নগদ মিলিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার জিনিস-টাকা লুট হয়েছে। দু’বছর আগেও এই দোকানে ডাকাতি হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হানাদারদের বয়স ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে। বাংলাতেই কথা বলছিল সকলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” শনিবার দুপুরে তাঁর সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) অনিল কুমার। |