চাকরির জন্য শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে গিয়ে এ বার এক যুবকের মৃত্যু হল বহরমপুরে।
বিদ্যুৎ দফতরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের জন্য শনিবার সকালে বহরমপুর স্টেডিয়ামে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়। ডাম্বেল হাতে দৌড়ানোর সময় নদিয়ার আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা মনতোষ সরকার (২৩) নামে ওই যুবক পড়ে যান। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
প্রখর গরমে গত ৬ জুন কলকাতায় রেসকোর্সে পুলিশের চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় নোয়াপাড়ার যুবক অভিষেক পালের। গরমের কারণেই তাঁর মৃত্যু বলে অনেকে প্রাথমিক ভাবে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু, এ দিন শীতের শুরুর সকালে মনতোষের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। বিদ্যুৎ দফতরের ‘টেকনিক্যাল সাপোর্ট হ্যান্ড’ পদে রাজ্যে মোট ২০০ জনকে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে নিয়োগ করা চলছে। বহরমপুর কেন্দ্রে শুক্রবার থেকে মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া তিন জেলা মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছে। চলবে আজ, রবিবার পর্যন্ত। তার মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বহরমপুর বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার নীরজকুমার মোদি বলেন, ‘‘কর্মপ্রার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা বিভাগে এক নাগাড়ে মোট ৩০০ মিটার দৌড়ের পরীক্ষা রয়েছে। ২০০ মিটার দৌড়নোর পর দু’হাতে ২ কেজি করে মোট ৪ কেজি ওজনের ডাম্বেল নিয়ে বাকি পথ দৌড়তে হচ্ছে। দৌড়ের শেষ পর্যায়ে ওই পরীক্ষার্থী পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি।” মনতোষের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে তাঁর সঙ্গে পরীক্ষা দিতে আসা বন্ধুরাও। আনন্দনগরের বাসিন্দা তরুণ বিশ্বাস, অভিজিৎ চৌধুরীরা বলেন, “মনতোষ এবং আমরা কয়েক জন এই পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রায় তিন মাস ধরে রোজ ভোরে ৫-৬ কিলোমিটার দৌড়ই। মনতোষ নিয়মিত ফুটবল ও ক্রিকেট খেলত। যথেষ্ট সুস্থ ছিল। কী ভাবে যে এমন ঘটল কিছুই বুঝতে পারছি না।”
শুক্রবার রাত দু’টো নাগাদ বাহাদুরপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে ভোর চারটে নাগাদ বহরমপুর স্টেশনে নামেন মনতোষরা। সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ বহরমপুর স্টেডিয়ামের মাঠে দৌড় শুরু হয়। শিশিরভেজা মাঠ পিছল থাকায় অনেকেই মনতোষের মতো পড়ে যান। অন্যেরা উঠে দাঁড়ালেও মনতোষ আর ওঠেননি। ছেলের মৃত্যুসংবাদ শুনে মনতোষের বাবা অনিল সরকার ঘনঘন অচৈতন্য হয়ে পড়েন বলে জানান তাঁদের পড়শি অমরেন্দ্র বিশ্বাস।
|
ফিরলেন অপহৃত
সংবাদসংস্থা • বেলডাঙা |
অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার মুক্তি পেলেন নওদার কেদারচাঁদপুর ২ পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সামসুজ্জামান। পুলিশের দাবি, ব্যবসা সংক্রান্ত গোলমালেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। |