মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমলে তবেই ফের সুদ কমানোর পথে পা বাড়াবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এবং সেটা যে জানুয়ারির আগে সম্ভব হবে না, সেই ইঙ্গিতই দিলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাও। উন্নত ও দ্রুত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জোট জি-২০-র বৈঠকে এখানে এসে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। এই জোটে রয়েছে আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, ভারত।
নতুন বছরের গোড়ার দিকে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কিছুটা কমবে বলেই আশা করছে আরবিআই। তাই তত দিন অপেক্ষা করতে চান সুব্বারাও। সেই কারণেই তিনি বলেন, “ডিসেম্বরেও একবার ঋণনীতি ফিরে দেখবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তখন সুদ কমানোর বিষয়টি ‘অত্যন্ত অনিশ্চিত’। বরং আগামী ২৯ জানুয়ারির পর্যালোচনায় সুদ কমানোর সম্ভাবনা অনেকটা উজ্জ্বল। তবে আচমকা পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠলে অপেক্ষা করতে হবে মার্চ মাস পর্যন্ত।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ৩০ অক্টোবরের ঋণনীতিতে সুদ কমানোর পথে হাঁটেনি আরবিআই। তবে নগদ জমার অনুপাত বা সিআরআর (অর্থাৎ ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের আমানতের যে অংশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে গচ্ছিত রাখতে হয়) ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে নগদের জোগান বাড়িয়েছে তারা। |
এখানে মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যানের প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন সুব্বারাও। যা সেপ্টেম্বরে পৌঁছে গিয়েছে ৭.৮ শতাংশে, গত দশ মাসের সর্বোচ্চ হার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, তা ৪-৫ শতাংশের মধ্যে থাকলে তবেই স্বস্তিজনক বলা যেতে পারে। পাশাপাশি, তলানিতে নেমে আসা আর্থিক বৃদ্ধির উপরেও নজর রাখছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। প্রায় ৫.৫ শতাংশে নেমে আসা আর্থিক বৃদ্ধিকে টেনে তুলতেই সুদ কমানোর দাবি ক্রমাগত জানিয়ে আসছে শিল্পমহল।
এ দিকে, মঙ্গলবার দু’দিনের জি-২০ বৈঠক শেষে সদস্য রাষ্ট্রগুলির অর্থমন্ত্রী ও শীর্ষ ব্যাঙ্কের কর্তারা বিশ্ব অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার নামমাত্র ও তা আরও নীচে নামার প্রবণতা যথেষ্ট বেশি। তবে বৃদ্ধির সড়কে দ্রুত ফিরতে তড়িঘড়ি অত্যধিক ব্যয় সঙ্কোচও যুক্তিযুক্ত হবে না বলে তাঁদের ধারণা। সব দিক বিবেচনা করে তবেই পা ফেলতে হবে। |