|
|
|
|
মহিষাদল থেকে অপহৃত শিক্ষকের দেহ নন্দকুমারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত এক প্রাথমিক শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার হল নন্দকুমারে। সোমবার সকালে নন্দকুমার থানার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামীণ গ্রন্থাগারের পাশে একটি পুকুর থেকে ওই শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দীপক প্রামাণিক (৩৭) নামে ওই শিক্ষকের বাড়ি মহিষাদল থানার দক্ষিণ-পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামে। সম্প্রতি পূর্ব শ্রীরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলি হয়ে স্থানীয় নাটশাল নরসিংহচক শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন দীপকবাবু। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অপহৃত ওই শিক্ষককে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক দীপকবাবু ফিজিওথেরাপি করতেন। মহিষাদল বাজারে তাঁর চেম্বার রয়েছে। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ মহিষাদল বাজারে মোটর সাইকেল মেরামত করিয়ে মহিষাদল-গেঁওখালি সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মহিষাদল থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে পাহালানপুর ও তালতলা বাসস্টপের মাঝে একদল দুষ্কৃতী তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। রাতেই পাহালানপুরে কাছে ওই সড়কের ধারে তাঁর মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানতে পেরে রাতেই তাঁর পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অভিযোগ পেয়ে মহিষাদল থানার পুলিশও তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু রাতে ওই শিক্ষকের হদিস পাওয়া যায়নি।
সোমবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে নন্দকুমারের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে গ্রামীণ গ্রন্থাগারের পাশে একটি পুকুরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে মহিষাদলে নিখোঁজ শিক্ষকের পরিবারের লোকজন ওই মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মহিষাদলের সার্কেল ইনস্পেক্টর শুভঙ্কর দে বলেন, “রবিবার রাতে ওই শিক্ষক বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয়েছিলেন বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান শ্বাসরোধ করে ওই শিক্ষককে খুন করা হয়েছে।”
এ দিন সকালে নন্দকুমারে ওই শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পৌঁছানোর পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে সেখানে হলদিয়ার এসডিপিও অমিতাভ মাইতি-সহ পুলিশ বাহিনী যায়। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে মহিষাদলের নাটশাল এলাকার রাজচক গ্রামের বাসিন্দা দীপকবাবু কয়েক বছর আগে স্থানীয় দক্ষিণ-পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামে বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। স্ত্রী চন্দনা, বছর দশেকের এক মেয়ে ও বছর সাতেকের এক ছেলেকে নিয়ে সংসার। এদিন স্বামীর মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন চন্দনাদেবী। বলেন, “পরিবারে আমাদের কোন অশান্তি ছিল না। অন্য কোনও শত্রুতা ছিল কি না জানি না। এমন করে ওকে কে মারল বুঝতে পারছি না।” |
|
|
|
|
|