|
|
|
|
জলপ্রকল্পে ভুয়ো বিল, সরব জেলা পরিষদও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গড়বেতার মহারাজপুর গ্রামে জল প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে এ বার সরব হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার নিজের দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “প্রকল্পই হয়নি। অথচ, প্রকল্পের বিল মেটানো হয়েছে। এমন ঘটনা ভাবা যায় না। এ ক্ষেত্রে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা উচিত।” এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিশির মহাপাত্রও। |
 |
সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সভাধিপতি। নিজস্ব চিত্র। |
গড়বেতা-৩ ব্লকের নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজপুর গ্রামে একটি জল প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার কাজ হয়নি। তবে বিল জমা পড়েছিল। সেই বিল মেটানোও হয়েছে। তদন্তে নেমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের নামে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগেই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়রকে ‘শো কজ’ করা হয়। তবে তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সভাধিপতি বলেন, “ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা এসে পড়ে রয়েছে। অথচ, কাজ এগোচ্ছে না। ২০১১-১২ আর্থিক বছরে ২২ হাজার ২৩৫টি বাড়ি তৈরি হওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৮ হাজার বাড়ি তৈরির টাকা পড়ে রয়েছে। ফলে ২০১২-১৩ আর্থিক বছরের বরাদ্দও মিলছে না। অথচ, এই অথর্ বর্ষে আরও ২৪ হাজার ৬৩৭টি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করা রয়েছে। প্রাপকদের নামও নির্দিষ্ট হয়ে রয়েছে।” বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ হওয়ার জন্য কী পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও ভূমিকা নেই? তাঁর বক্তব্য, “এখন পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে এড়িয়ে কাজ করা হচ্ছে। প্রশাসনই পঞ্চায়েতকে কাজ করতে দিচ্ছে না।” জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এমন অভিযোগের জবাব হয় না। সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হয়।” |
|
|
 |
|
|