প্রথমে ৫০ ওভারের এক দিনের ক্রিকেট। তার পরে আরও সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টির তুমুল জনপ্রিয়তার চাপে মুমূর্ষু হয়ে পড়া টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল আইসিসি। বহু প্রতিক্ষীত দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ এবং তাতে রঙিন বলের ব্যবহারের প্রস্তাবকে অনুমোদন দিল। দিন-রাতের ওয়ান ডে তো কেরি প্যাকারের হাত ধরেই সত্তরের দশকে বিশ্ব ক্রিকেট দেখেছিল। যাকে কিছু বছর পরেই আইসিসি স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর কুড়ি ওভারের ক্রিকেট তো শুরুই হয় সন্ধে গড়িয়ে রাত নামলে। যার মেয়াদ তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
কিন্তু দৈনিক ৯০ ওভারের, প্রায় ঘণ্টা সাড়ে ছয়ের টেস্ট দিন-রাতের হলে প্রতি দিন খেলা শুরু হবে কখন? দুবাইয়ে আইসিসি দফতরে সে ব্যাপারে এ দিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও ক্রিকেটের ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দিন-রাতের ওয়ান ডে ম্যাচের মতোই দুপুর দু’টো থেকে তিনটের মধ্যে পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচও ভবিষ্যতে শুরু হবে। কারণ দিন-রাতের ওয়ান ডে-তেও ১০০ ওভারের ম্যাচ ওই সময়ে শুরু হয়ে রাত দশটা-সাড়ে দশটার ভেতর শেষ হয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশ টেস্টেও ভবিষ্যতে দিন-রাতের হবে আগাম আন্দাজ করে নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে তাদের ঘরোয়া তিন বা চার দিনের ম্যাচ কিছু দিন ধরে নৈশালোকে করছে। এখন সেই ব্যাপারে আইসিসির সিলমোহর পড়ায় অচিরেই হয়তো অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মাঠে দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ দেখতে পাওয়া যাবে। আইসিসি একটি বিবৃতিতে এ দিন বলেছে, “প্রতিটা টেস্ট সিরিজের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের বোর্ড এ ব্যাপারে একমত হলে তবেই দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হতে পারে। বলের রং কী হবে সেটাও আইসিসির সদস্য দেশগুলোর বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে।”
|
নতুন প্লেয়িং কন্ডিশন |
• ওয়ান ডে-তে তিনটে নয়, দু’টো পাওয়ারপ্লে।
• ওয়ান ডে-তে ওভারে দু’টো বাউন্সার।
• রেফারেল সিস্টেমে এলবিডব্লিউ-র ক্ষেত্রে বল-প্যাডের ‘ইমপ্যাক্ট’-এর ধারণামূলক দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি।
• টেস্টে লাঞ্চ এবং চা-বিরতির সময় (যথাক্রমে ৪০ ও ২০ মিনিট) প্রতিদ্বন্দ্বী দু’দেশের বোর্ড আলোচনা সাপেক্ষে পরিবর্তন করতে পারবে। |
|
এ ছাড়া টেস্ট, ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টিতিন ফর্ম্যাটেই কিছু পরিবর্তন হল। শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা আগে। মঙ্গলবার পাল্লেকেলের ম্যাচ থেকেই পাওয়ারপ্লে, ফিল্ডিং বিধিনিষেধ, নো বল, ডেড-বল, শর্ট পিচড ডেলিভারি, ওভার রেট এবং রেফারেল সিস্টেম সংক্রান্ত নয়া নিয়মাবলি চালু হয়ে যাবে। এগুলো সবই গত মে মাসে লন্ডনে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটির (বর্তমানে যার প্রধান অনিল কুম্বলে) প্রস্তাব ছিল। এ দিন যেটা আইসিসি অনুমোদন করেছে। |