|
|
|
|
মহিলার অপমৃত্যু, ধৃত সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মহিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক সিপিএম কর্মী। পিংলার সাঙ্গাড়ে এই ঘটনায় চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, মিথ্যে মামলায় তাদের কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তৃণমূলের দাবি, ওই মহিলাকে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরাই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৩ অক্টোবর মৃত্যু হয় আরতি দাসের (৪৬)। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে ২১ অক্টোবর তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হন। বাড়ি পিংলা থানার ধনেশ্বরপুরের কদমগেড়িয়া গ্রামে। আরতিদেবী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর স্বামী প্রবোধ দাস প্রায় ১২ বছর ধরে নিখোঁজ। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পর নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আরতিদেবী। অভিযোগ, ২০০০ সালের ২ নভেম্বর প্রবোধবাবুকে অপহরণ করে সিপিএমের ‘সশস্ত্র বাহিনী’। তাঁকে খুন করে লাশ গায়েব করা হয়। গত বছর অগস্টের শেষ দিকে নারায়ণগড় ব্লকের মণিনাথপুর খালপাড় থেকে মাটি খুঁড়ে হাড়গোড়, লুঙ্গি ও একটি কৌটো উদ্ধার হলে তা তাঁর স্বামীর বলে দাবি করেছিলেন আরতিদেবী। তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকজন সিপিএম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারও করে। এর পরই গত ২১ অক্টোবর আরতিদেবী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২৩ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। রবিবার রাতে মৃতের মেয়ে পুতুল দাস পিংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, আরতিদেবীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে ১৩ জন সিপিএম কর্মী- সমর্থকের নাম আছে। রবিবার রাতেই সাঙ্গাড় থেকে জগন্নাথ সিংহ নামে এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পিংলা থানার ওসি হীরক বিশ্বাস বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” ধৃতকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
সিপিএমের পিংলা জোনাল সদস্য তথা জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের দাবি, “মিথ্যে অভিযোগে আমাদের এক কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের ভূমিকায় গ্রামের মানুষও ক্ষুব্ধ।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের পিংলা ব্লক সভাপতি গৌতম জানা বলেন, “মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আরতিদেবীকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সিপিএমের নেতা-কর্মীরাই তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|