শেষমেশ গোয়ালতোড় ছেড়ে লালগড়ের দিকে এগোতে শুরু করল দলমা থেকে আসা হাতির দল। মুড়াকাটি, দুধপত্রি পেরিয়ে সোমবার ভোরে দলটি বন দফতরের লালগড় রেঞ্জের কাঁটাপাহাড়ি বিটের ঘাঘরাশোল, জঙ্গলখাসে এসে পৌঁছয়। তাদের গতিবিধি দেখে বনাধিকারিকদের অনুমান, দলটি এ বার ঝাড়গ্রামের মালাবতীর জঙ্গলের দিকে যেতে পারে। রূপনারায়ণ বিভাগের এডিএফও বিকাশরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “সোমবার ভোরেই দলটি ঘাঘরাশোল-জঙ্গলখাস এলাকায় আসে। মনে হচ্ছে, ওরা মালাবতীর জঙ্গলের দিকে যেতে পারে। অন্যত্র যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। হাতিদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে।”
দলটিতে ১৩০ থেকে ১৪০টি হাতি রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই দলটি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বন দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মী-সকলেই। ইতিমধ্যে প্রচুর ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৭-৮টি মাটির বাড়ি ভেঙেছে। দফতর সূত্রে খবর, গত ১৭ অক্টোবর বিকেলে বাঁকুড়ার বাঁকাদহ থেকে হাতির দলটি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার উপরজবা-শ্যামনগর এলাকায় ঢুকে পড়ে। এক সময় দলটি রামগড়ের দিকে এগোতে শুরু করেও পিছিয়ে আসে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বেলাবনি-বাবুইবাসা সংলগ্ন এলাকায় একটি হাতি বাচ্চা প্রসব করেছিল। সেই বাচ্চাকে নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে। মা হাতিটি বাচ্চাকে ছেড়ে যেতে চাইছে না। অথচ, বাচ্চাটির জন্য গোটা দলটির গতি কমে গিয়েছে। শেষমেশ দলটি লালগড়ে ঢুকে পড়ায় কিছুটা হলেও উদ্বেগ কমেছে। কারণ, একই এলাকায় ফসলের বেশি ক্ষতি হলে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়বে। ইতিমধ্যে সেই পরিস্থিতি তৈরিও হয়েছে। সমস্যা সমাধানে গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক করছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। এডিএফও’র আশ্বাস, “গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা সব দিকই খতিয়ে দেখছি। বেশ কিছু জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার হিসেব চলছে।” |