বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার শ্যামপুরের নস্করপুর গ্রামে। মৃতের নাম শশাঙ্ক মাইতি (৬২)। বাড়িতে বেআইনি ভাবে বাজি মজুত করা এবং অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে পুলিশ মৃতের ছেলে পতিতপাবন মাইতিকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, একটি বাল্ব কেটে বারুদের মধ্যে পড়ে যাওয়াতেই এই বিস্ফোরণ।
ধৃতের দাবি, লাইসেন্স নিয়েই তিনি কয়েক বছর ধরে বাড়িতে আতসবাজি তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “আগের রাতে তুবড়ি তৈরি করা হয়েছিল। বাবা সকালে ওই তুবড়িতে লেবেল লাগাতে গিয়েছিলেন। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, বুঝতে পারছি না।” পুলিশ জানায়, স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে পতিতপাবনবাবু একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আতসবাজি বানানোর লাইসেন্স ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির দোতলার ঘরে পতিতপাবনবাবু ওই কারখানা চালাতেন। কালীপুজো এসে যাওয়ায় শুক্রবার অনেক রাত পর্যন্ত বাজি বানানো চলে। পরে পতিতপাবনবাবু, তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে একতলার ঘরে ঘুমোতে চলে যান। শশাঙ্কবাবু লাগোয়া একটি বাড়িতে থাকতেন। তিনিও বাজি বানানোর কাজে যুক্ত ছিলেন। শনিবার ভোর সওয়া ৬টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। সেই সময়ে শশাঙ্কবাবু কারখানাতেই ছিলেন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার ছাদ উড়ে যায়। কয়েক ফুট দূরে ছিটকে গিয়ে পড়েন শশাঙ্কবাবু। গোটা শরীর ঝলসে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিস্ফোরণের পরেই বাড়ি ছেড়ে সপরিবারে পালান পতিতপাবনবাবু। পরে গ্রামেরই একটি বাড়ি থেকে পতিতপাবনবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আতসবাজি ছাড়াও ওই বাড়িতে বেআইনি ভাবে শব্দবাজিও বানানো হত। শব্দবাজির বারুদ থেকেই বিস্ফোরণ বলে তাঁদের অনুমান। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। |