রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিলেন ২২ জন মন্ত্রী |
‘মিশন’ ২০১৪ লোকসভা নির্বাচন। এর জন্যই মন্ত্রী সভায় শেষ রদবদল হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মন্ত্রী সভায়। প্রত্যাশা মতো ২২ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২১ জন কংগ্রেসের এবং এক জন পিএ সাংমার কন্যা আগাথা সাংমার স্থলাভিষিক্ত তারিক আনোয়ার। ২২ জন মন্ত্রীর মধ্যে কে রহমান খান, দিনশা পটেল, অজয় মাকেন, এম পল্লম রাজু, অশ্বিনী কুমার, হরিশ রাওয়াত ও চন্দ্রেশ কুমারি কটোচ, এই ৭ জন পূর্ণমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে মনীশ তিওয়ারি ও দক্ষিণের সুপার স্টার চিরঞ্জীবিকে স্বাধীন দায়িত্বে রাখা হবে। পশ্চিমবঙ্গ নতুন ৩ প্রতিমন্ত্রী পেল। প্রতিমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করলেন দীপা দাশমুন্সি, অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং আবু হাসেম খান চৌধুরী। কাকে কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হবে তা আজকেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানানো হবে।
|
কাজ শুরুর আগেই ফের অচলাবস্থার আশঙ্কা হলদিয়া বন্দরে |
দীর্ঘ দিনের অচলাবস্থা কাটাতে প্রয়োজন মতো নিরাপত্তার খাতে জমা পড়েছে ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। মিলেছে প্রশাসনিক নিরাপত্তার আশ্বাস। তার মধ্যেই আজ সকাল থেকে হলদিয়া বন্দরের ২ ও ৮ নম্বর বার্থে কাজ শুরু করার কথা ঘোষণা করেছিল এবিজি গোষ্ঠী। কিন্তু কাজ শুরু করার আগেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন তাঁরা। গতকাল মধ্যরাতে আবাসন থেকে স্ত্রী-কন্যা-সহ ভূষণ পাটিল, ক্যাপ্টেন জলি এবং জগদীশ বেহরা, সংস্থার এই তিন শীর্ষ কর্তাকে অপহরণ করে শসস্ত্র দুষ্কৃতীরা। সারা রাত তাঁদের শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরিয়ে সকাল বেলা হলদিয়ার বাইরে বার করে দেওয়া হয়। তার পর হুমকি দেওয়া হয় হলদিয়ায় ফিরলে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এমনটাই অভিযোগ এবিজি গোষ্ঠীর সিইও গুরপ্রীত মালহি-র। |
আজ সকাল ৮টা থেকে পুলিশ ক্যাম্প বসার কথা থাকলেও তা এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। হলদিয়া ডক অফিসার্স ফোরামের সম্পাদক রমাকান্ত বর্মণ এক্ষেত্রে কিছুটা সরাসরিই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তাঁর আরও অভিযোগ শুভেন্দুবাবু হলদিয়ায় সভা করার পর থেকে অচলাবস্থা চরমে পৌঁছেছিল। প্রসঙ্গত গত ২৩ সেপ্টেম্বর রমাকান্তবাবুকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করেছিল কিছু দুষ্কৃতী। তার পর তাঁকে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন কিছু ‘গণ্যমান্য’ ব্যক্তিবর্গ। যাঁদের মধ্যে বন্দরে কাজ করা অন্য একটি সংস্থা রিপ্লে কোম্পানির অন্যতম কর্তা সৃঞ্জয় বসু, মোহনবাগান ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্তর নামও রয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, অন্য সংস্থাটি সম্পূর্ণ ‘অবৈধ’ ভাবে বন্দরে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছে। এমন অবস্থা বজায় থাকলে হলদিয়া বন্দর বন্ধ হওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্য দিকে ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের অন্যতম কর্তা প্রিয়দর্শন রায় বলেছেন, তিনি এই ঘটনায় ‘৭০ দশকের শুরুর দিকের ছায়া’ দেখতে পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেছেন প্রশাসন এখনই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এ রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহী সংস্থাগুলি মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। শিল্প মহলের অনেকের ধারণা ‘শিল্প প্রিয়’ রাজ্য সরকারের বাণিজ্যিক নীতির কাছে তা হয়তো সুখকর হয়ে উঠবে না। |