|
|
|
|
পুলিশি পাহারায় এবিজি কাজ শুরু করতে চায় আজই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও হলদিয়া |
পর্যাপ্ত পুলিশি পাহারা থাকলে হলদিয়া বন্দরে আজ, রবিবার সকাল থেকেই কাজ শুরু করতে পারে এবিজি। তবে ছাঁটাই শ্রমিকদের আস্ফালনও চলছে।
এবিজি যাতে রবিবারই কাজ শুরু করতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে হলদিয়া বন্দরে। ২ এবং ৮ নম্বর বার্থে আসার জন্য স্যান্ডহেডে দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’টি জাহাজ। এবিজি-র ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জমা পড়ার পর তৈরি হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি পুলিশ ক্যাম্পও। রবিবার সকাল থেকেই সেখানে প্রহরা শুরুর কথা জেলা পুলিশ বাহিনীর। পুলিশ মোতায়েন হয়ে গেলে রবিবার থেকেই হলদিয়া
বন্দরে এবিজি কাজ
শুরু করবে সংস্থার একটি সূত্র শনিবার রাতে জানিয়েছেন।
কিন্তু এত কিছুর পরেও সংশয় পুরোপুরি কাটছে না এবিজি-র। তাঁদের আশঙ্কা, বন্দরের বাইরে তাঁদের কর্মীদের উপরে হামলা করতে পারে বিক্ষোভকারীরা। মাস খানেকের উপরে হলদিয়া বন্দরের ওই দুটি বার্থে কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। কাজ শুরু না করায় এবিজি-র সঙ্গে তাদের চুক্তি খারিজ করার জন্য ইতিমধ্যেই আদালতের অনুমতি চেয়েছেন কলকাতা বন্দর-কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় পুলিশ ক্যাম্প চালু হয়ে গেলেই এবিজি-কে কাজ শুরু করতে হবে বলে শনিবার মন্তব্য করেছেন কলকাতা বন্দরের এক কর্তা।
নিরাপত্তা নিয়ে এবিজি-র এমন সংশয় কেন? সংস্থার একটি সূত্র বলেন, শুক্রবার তাঁরা ১০ দিনের পুলিশি খরচের টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশ ক্যাম্প চালু হয়নি। পুলিশ কর্মীরা যেখানে বসবেন, কেবল তার কাঠামো তৈরি হচ্ছে। এ দিনও তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। বেরিয়েছে মিছিলও। সেই মিছিল থেকে যে সব মন্তব্য করা হচ্ছে, সেটাই এবিজি-কর্তৃপক্ষের শঙ্কা বাড়িয়েছে। এবিজি-র আশঙ্কা, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১০০ মিটারের মধ্যে পুলিশ মোতায়েন হলেও বন্দরের বাইরে তাদের গাড়ি এবং কর্মীদের বাধা দেওয়া হতে পারে। পুলিশকে এই বিষয়টিও নজর দিতে বলেছে এবিজি।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন অবশ্য জানিয়েছেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এবিজি-কে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। হলদিয়ার পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক রয়েছে। ওরা চাইলে আজ থেকেই কাজ শুরু করতে পারে।” হলদিয়া বন্দরের ট্রাফিক ম্যানেজার দামোদর নায়েক বলেন, “২ ও ৮ নম্বর বার্থে দেওয়ার জন্য একটি করে কোকিং
ও নন-কোকিং কোলের জাহাজ স্যান্ডহেডে দাঁড়
করানো আছে। এবিজি কাজ শুরু করলেই জাহাজ দুটিকে ওই বার্থে নোঙর করানো হবে।”
এবিজি-র সিইও গুরপ্রীত মালহি এ দিন বলেন, “আমরা রবিবার থেকেই কাজ শুরু করতে পারি। কিন্তু দেখতে চাই, বন্দরে পুলিশ মোতায়েন হয়েছে, আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা
সুনিশ্চিত রয়েছে। এটা বুঝলেই কাজ শুরু করব।” এবিজি-র কাছে খবর, আজ, রবিবার সকাল আটটা থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে হলদিয়া বন্দরের গেটে।
বন্দরের ১০০ মিটারের মধ্যে পুলিশি ব্যবস্থায় এবিজি-র কর্মরত শ্রমিকেরা আশার আলো দেখলেও বাইরের পরিস্থিতিতে তাঁরা এখনও শঙ্কিত। বন্দরের মূল গেটের অদূরে রানিচক-সহ বন্দরের অন্যান্য গেটের কাছেও ছাঁটাই শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহালের দাবিতে তৃণমূলপন্থীদের অবস্থান চলছেই। পাশাপাশি কর্মরত শ্রমিকদের ওপর নজরদারি ও তাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠছে একই ভাবে। তবে সে অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি বন্দরের আইএনটিটিইউসি ঠিকা মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদক উৎপল বেরা। বন্দরের প্রশাসনিক আধিকারিক অমল দত্ত বলেন, “বন্দরের পরিস্থিতি এ বার স্বাভাবিক হবে বলেই আশা করছি।” |
তৃণমূল-কংগ্রেস কাজিয়া কাঁথিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দলীয় কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াল। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুরামপুরে। দুই পক্ষ থেকেই কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কয়েকজন কর্মী রঘুনাথপুরের দলীয় কার্যালয়টি দখল করতে এলে কংগ্রেস কর্মীরা বাধা দেন। দেশপ্রাণ ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি স্নেহাশিস পাহাড়ির দাবি, “তৃণমূলের জন্মের আগে থেকেই ওই অফিসটি কংগ্রেসের দখলে।” তবে চালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের তপন সামন্তের দাবি, “দীর্ঘদিন ধরেই ওই অফিসে তৃণমূল কর্মীরা বসছেন। শুক্রবার সিপিএমের কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়।” পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ আগামী মঙ্গলবার দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসার কথা জানান। যদিও কংগ্রেস তা বয়কট করে বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। |
|
|
|
|
|