ঈদের আগের রাতে মুখের হাসি মিলিয়ে গিয়েছে কালনার কালীনগরের অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দাদের। ঘরের আশপাশে এখনও পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যেও সংসারের জিনিসপত্র খুঁজে চলছেন বাসিন্দারা। অনেকেই মাথা গুঁজতে অন্যত্র চলে গিয়েছেন পাড়া ছেড়ে। যাদের সে সুযোগ নেই, তাঁরা ত্রিপলের তাঁবুতে রাত কাটাচ্ছেন।
গত ২১ অক্টোবর দুপুরে মল্লিকপাড়ার একটি বাড়ির রান্নার উনুন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা পাড়ায়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৫৫টি বাড়ি। ঘরকন্নার জিনিসপত্রের পাশাপাশি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের বই পত্রও। |
ফলে পড়াশোনা করা বা স্কুলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও নেই তাদের। এই অবস্থায় স্কুল পড়ুয়াদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। শুক্রবার পড়ুয়াদের জন্য পাঠ্যপুস্তক, খাতা, কলম নিয়ে ভাগীরথী পেরিয়ে গ্রামে যান প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দেবাশিস নাগ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পূর্বচক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রিয়ব্রত মুখোপাধ্যায়, কালনা থানার ওসি অমিত মিত্র, কালীনগর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সরকার। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ৬০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পড়াশোনার উপকরণ তুলে দেন তিনি। তিনি জানান, নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়াদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, “বই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারছে না, এ কথা জানার পরেই দ্রুত পাঠ্য পুস্তক বিলির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” |