নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
বিষকাণ্ডের পরে করলা নদী ঘিরে বাড়তি তৎপরতা নিয়েছে পুরসভা ও জেলা প্রশাসন। গত বছর পুজোর মরসুমের পরেই করলা নদীতে বিষক্রিয়ায় প্রচুর মাছের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল জলের নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেয়, বিষক্রিয়ার পাশাপাশি সারা বছর বিশেষত উৎসবের মরসুমে নদী জুড়ে যথেচ্ছ দূষণ ছড়ানোর ঘটনা মাছের মড়কে অনুঘটকের কাজ করেছে। দূষণ ও বিষক্রিয়ার প্রভাবেই মাছের মড়ক হয় বলে মৎস্য দফতরের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়। সে কারণেই চলতি বছর করলা নদীতে বিসর্জন ঘিরে বাড়তি সর্তকতা নিয়েছে পুরসভা। শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করাল নদীতেই শহরের বেশি সংখ্যক পুজো কমিটির বা বাড়ির পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হয়। বুধবার বিজয় দশমীর সকাল থেকেই পুরসভার জনস্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা নৌকা নিয়ে নদীতে সাফাই অভিযান চালিয়েছে। বুধবার সারা রাত নদীতে সাফাই হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবারও বেশ প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এবারে করলা নদীর বিভিন্ন বিসর্জন ঘাটগুলিতে, ঘট, ফুল, বেলপাতা, প্রতিমার সাজ, থার্মোকলের বিভিন্ন উপকরণ যা থেকে নদীতে দূষণ ছড়াতে পারে, সেগুলি নদীতে ফেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুরসভা। ঘাটের বিভিন্ন জায়গায় পুর কতৃপক্ষই এই উপকরণগুলি ফেলার বিশেষ জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের পরেই কাঠামোগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির সদর মহকুমাশাসক সাগর চক্রবর্তী বলেন, “পুরসভার সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা হয়েছে। বিসর্জন চলতে থাকাকালীনই একসঙ্গে সাফাই অভিযান চালানোর কথা বলা হয়েছিল। ফুল বেলপাতা, ঘট, শোলার জিনিস নদীতে না ফেলে পৃথক জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা করেছিল পুরসভা। বিসর্জনের পরে নদীর কী অবস্থা থাকে তা খতিয়ে দেখতে ফের বৈঠকে বসা হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, করলা নদীর দশটি বিসর্জন ঘাটে পাঁচ থেকে সাতশো প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “গতবারের বিষকাণ্ডের পরে এ বছর বিসর্জন নিয়ে কড়াকড়ি হয়েছে। যে উপকরণ থেকে দূষণ ছড়ায় সেগুলি যাতে নদীতে ফেলা না হয় তা দেখতে প্রতিটি ঘাটে পুরসভার কর্মীরা নজরদারি চালিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনও পুরকর্মীদের সাহায্য করেছে। নৌকা, পে-লোডার দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতি সারা রাত নদীতে সাফাই অভিযান হয়েছে।”
|
হাতির হানায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝালদা |
পুজোমণ্ডপ থেকে কীর্তন সেরে বাড়ি ফেরার পথে হাতির হানায় মৃত্যু হল একজনের। মৃতের নাম সুশীল গোস্বামী (৫৫)। তিনি ঝালদা থানা এলাকার বড়পুরা গ্রামের বাসিন্দা। নবমীর দিন রাতে তিনি এবং এক সঙ্গী সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামের অদূরে তাঁরা একটি দলছুট দাঁতালের সামনে পড়েন। সঙ্গী সাইকেল থেকে লাফ দিয়ে পালাতে পারলেও সুশীলবাবুকে দাঁতালটি শুঁড়ে জড়িয়ে আছড়ে মারে। ঝালদার রেঞ্জার মানিকচন্দ্র রায় জানান, স্থানীয় মানুষজন তাঁকে উদ্ধার করে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, ষষ্ঠীর দিন বিকেলে ওই এলাকাতেই কলমা গ্রামের অদূরে দলছুট দাঁতালের আক্রমণে আহত হন অতুল মাহাতো নামে এক যুবক। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া, দশমীর রাত্রে ঝালদা থানারই চাঁদামসিনা গ্রামে একটি দলছুট দাঁতাল হামলা চালিয়েছে। |