বয়কট করে ফাঁপরে বিজেপি
জেপিসি জেরায় টু-জি-তে জড়াল প্রধানমন্ত্রীর নামও
যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক বয়কট করে বসে আছে বিজেপি। অথচ তাদের অনুপস্থিতিতেই টু-জি কাণ্ডে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কে এম চন্দ্রশেখর।
স্বভাবতই দোলাচলে বিজেপি। কমিটিতে না গিয়ে কি আদৌ কোনও লাভ হল তাদের?
টু-জি কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে ডাকার দাবি যত ক্ষণ মানা না হচ্ছে, তত ক্ষণ বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। সেই দাবি এখনও মানেননি কমিটির চেয়ারম্যান পি সি চাকো। কিন্তু বিজেপি নেতাদের অনুপস্থিতিতেই প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কে এম চন্দ্রশেখর সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তের জেরায় জানিয়ে দিলেন, টু-জি স্পেকট্রামের লাইসেন্স দেওয়ার প্রবেশ-মূল্য ৩৫ হাজার কোটি হওয়া উচিত ছিল বলে প্রধানমন্ত্রীকে লিখিত আকারে জানিয়েছিলেন তিনি। অথচ সরকার সেই দাম নির্ধারণ করে মাত্র ১,৬৫১ টাকায়। এত দিন প্রধানমন্ত্রী গোটা ঘটনায় দায় নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন। কিন্তু চন্দ্রশেখরের বক্তব্যের পর বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীকেও এ বারে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ এল।
দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে কমিটির সামনে হাজির করার দাবি জানানো হলেও মূলত চিদম্বরমকে ডাকার উপরেই জোর দিচ্ছিল বিজেপি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ বারে নিশানায় চলে এলেন। এই অবস্থায় সরকারকে কমিটির মধ্যে চেপে ধরার জন্য গুরুদাস দাশগুপ্ত ছাড়া আর তেমন কেউই নেই। সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি থাকলেও কমিটিতে তিনি তেমন সক্রিয় নন। আর মুলায়ম ও মায়াবতীর দলও আকারে-ইঙ্গিতে সরকারের পাশে রয়েছে। এই অবস্থায় যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের ফল অবশ্য অন্তসারশূন্য হবে। কিন্তু সরকারের কর্তারাই যদি এ ভাবে মুখ খুলতে শুরু করেন, তা হলে কমিটিতে থেকে কেন্দ্রকে আরও চেপে ধরা যায়।
কমিটির সদস্য যশবন্ত সিন্হার সঙ্গে গুরুদাস দাশগুপ্তের এই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। সিপিআই নেতৃত্ব সিপিএম নেতাদের সঙ্গেও কথা বলছেন, যাতে গোটা বাম শিবির এ ব্যাপারে এককাট্টা হয়। বিজেপিকেও পাশে পাওয়া যেতে পারে। যশোবন্ত সিন্হাও বিষয়টি নিয়ে দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী ৮ নভেম্বর যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক। সেখানে আরও সাক্ষীকে হাজির করা হবে। বিজেপির এক নেতা আজ জানান, “তত দিনে পরিস্থিতির উপরে নজর রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কমিটিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত কি না। কমিটির রিপোর্ট যাই হোক, অন্তত কমিটিতে যোগ দিলে নিজেদের প্রতিবাদ নথিবদ্ধ করা সম্ভব হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.