ভাসান-বিধি মানতে হলফনামা তলব |
গঙ্গা এবং পরিবেশের দূষণ রোধে বিভিন্ন প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে আদালত দীর্ঘদিন আগেই নিয়মবিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। সরকার সেই বিধি মেনে চলবে, এই মর্মে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবকে লিখিত অঙ্গীকার করতে হবে বলে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই অঙ্গীকার-সহ হলফনামা জমা দিতে হবে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত এবং বিচারপতি অসীমকুমার মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে।
কয়েক বছর ধরেই পুরসভা, পুলিশ এবং বন্দর-কর্তৃপক্ষ যৌথ ভাবে বিসর্জনের দায়িত্ব পালন করে। কোনও প্রতিমার কাঠামো যাতে বেশি ক্ষণ গঙ্গায় পড়ে থাকতে না-পারে অথবা ভেসে চলে না-যায়, তা নিশ্চিত করতে বিসর্জনের পরেই ক্রেনের সাহায্যে কাঠামো তুলে ফেলা হয় ডাঙায়। পুরসভার লরি সেই কাঠামো নিয়ে চলে যায়। এমনকী ফুল, বেলপাতা বা চাঁদমালার মতো পুজোর উপকরণ জলে ফেলা নিষেধ। এই সব বিধি কলকাতা বা হাওড়ার মতো পুরসভায় অনেকটাই মানা হয়। তবে প্রতি বারেই উৎসবের মরসুমে অভিযোগ ওঠে, গঙ্গার দু’পাড়ের আরও ৪০টি পুরসভা যথাযথ ভাবে বিসর্জন বিধি মানে না।
এ বার বিসর্জনে পরিবেশ বিধি ঠিকমতো মানা হবে কি না, তা নিয়ে এ দিন আদালতে সন্দেহ প্রকাশ করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তার পরেই আদালত ওই বিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়। ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, গঙ্গার দু’পাড়ের ৪২টি পুরসভার ক্ষেত্রেই ওই বিধি মেনে চলার নির্দেশ প্রযোজ্য।
|
গাছ কাটা নিয়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব |
গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভগবানপুর-১ ব্লকের গুড়গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোপীনাথপুরে। ঘটনায় আহত দুই পক্ষের মোট চারজনকে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল নেতা হারুন রশিদ বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বেঁউদিয়া, গুড়গ্রাম ও ডাকরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বনসৃজনের গাছ বিক্রির ৩ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে নিয়ম মেনেই। সেই গাছই কাটা হচ্ছিল। কিন্তু গোপীনাথপুরের পঞ্চায়েত সদস্য মৃন্ময়ী সাঁতরা ও তাঁর স্বামী প্রবীর সাঁতরার নেতৃত্বে লোকজন মিথ্যে অভিযোগ তুলে গাছ কাটতে বাধা দেন। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মারামারি হয়।” অন্য দিকে মৃন্ময়ীদেবী ও তাঁর স্বামীর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত সমিতি ও দলের একাংশের মদতে টেন্ডার দেওয়া হয়নি এমন গাছও কাটা হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় দলের লোক দিয়েই আমাদের মারধর করা হয়েছে।” |