পঞ্চমীর রাতে সহকর্মীর সার্ভিস রিভলভারের গুলিতে মৃত্যু হল রাজ্য পুলিশের শিক্ষানবিশ সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) অমর সরকারের (৩৩)। শুক্রবার শ্যামপুর থানার ঘটনা। অমরবাবুর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়ার ইছাপুর-মানিকতলায়। মাত্র ১২ দিন আগে তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন। থানার অফিসারদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন থানায় লিখিত
|
অমর সরকার |
অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অমরের ওই সহকর্মী, থানার এএসআই প্রবীর ঘোষকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশ সূত্রের দাবি, বেকায়দায় রিভলভার থেকে ছিটকে আসা গুলিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে।
জেলার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ভরতলাল মিনা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এএসআইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে অমরবাবু এসআই পদে চাকরি পান। প্রশিক্ষণ শেষে গত ৭ অক্টোবর তিনি শ্যামপুর থানায় যোগ দেন। শুক্রবার রাতে থানায় তিনি ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে ডায়েরি লেখার খুঁটিনাটি শিখছিলেন। সেই সময়ে টহলদারিতে যাওয়ার জন্য প্রবীরবাবু নিজের সার্ভিস রিভলভারে গুলি ভরছিলেন। আচমকাই কিছুটা দূরে চেয়ারে বসা অমরবাবুর মুখে গুলি লাগে। গুরুতর জখম ওই পুলিশকর্মীকে ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছু ক্ষণের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার দুপুরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে দেহটির ময়না-তদন্ত হয়। ঘটনা জেনে উলুবেড়িয়া থানায় যান ডিআইজি (পিআর) অনিলকুমার-সহ জেলা পুলিশের কর্তারা। তাঁরা অমরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। অমরের দাদা দিলীপ সরকার এবং ভগ্নিপতি অমিত বিশ্বাসের দাবি, “স্কুল পরিদর্শকের চাকরিও পেয়েছিল অমর। কিন্তু ও পুলিশের চাকরি বেছে নেয়। কাজে যোগ দিয়েই ও থানার অফিসারদের একাংশের দুর্নীতির কথা আমাদের ফোনে জানাত। আমাদের ধারণা, তারই জেরে অমরকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ-কর্তাদেরও সে কথা জানিয়েছি।” |