বিলেতেও সাজো সাজো রব। ঢাকের বাদ্যি, নতুন জামায় শুরু হয়ে গেল শারদোৎসব। কে বলে কলকাতা নয়? রানির দেশে দুর্গার বাপের বাড়িও এখন ‘সিটি অফ জয়’।
ইতিমধ্যেই শীতের চাদর মুড়ি দিয়েছে লন্ডন। তার মধ্যে আবার সপ্তাহ শেষের ছুটি। থিম-পুজোর দৌড় না থাকলেও, ‘প্রতিযোগিতার’ থিমে পিছিয়ে নেই লন্ডন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাংলা ছবি আর ভোগের এলাহি আয়োজনে সেরা পুজোর মুকুট কে পাবে, তা নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনায় ফুটছে বিলিতি বাঙালি।
নয় নয় করে এ বার প্রায় ৪০টা পুজো হচ্ছে লন্ডনে। পশ্চিম লন্ডনের হান্সলোতে এ বছরই প্রথম পুজো। কমিটির দাবি, তাঁদের প্রতিমাই লন্ডনে সব চেয়ে বড়। কাচ ও ফাইবারের মাতৃমূর্তিতে তুলির টান পড়েছে কলকাতার কুমোরটুলির ঘরেই। তবে সেরার লড়াইয়ে রয়েছে পুরনোরাও। |
পশ্চিম লন্ডনের হান্সলোতে প্রথম দুর্গাপুজো। — নিজস্ব চিত্র |
লন্ডনে ক্যামডেন সেন্টারের পুজো সব চেয়ে পুরনো। সেখানের প্রতিমাটি উপহার দিয়েছেন শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তল। হ্যারো আর্ট সেন্টারের পুজো জনপ্রিয়তায় বেশ এগিয়ে। জমে গিয়েছে শারদীয়ার অনুষ্ঠানও। পঞ্চমীর অনুষ্ঠানে মঞ্চ কাঁপিয়েছেন সুরজিৎ। অনুষ্ঠান-সূচিতে রয়েছে বাংলা ছবি থেকে শুরু করে নৃত্যনাট্য ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। নজর কেড়েছে হ্যাম্পস্টেডের বেলসাইজ পার্কের পুজোও। লন্ডনের ব্রিক লেনের পুজো বাংলাদেশিদের।
আপাতত নস্টালজিয়ায় ডুবেছে বিলেতের বাঙালি। খিচুড়ি ভোগ আর শাড়ির ভাঁজে ব্রিটেন এখন ইউরোপের ‘কলকাতা’। |