|
|
|
|
|
|
খেয়াল রাখুন তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ |
|
সেপ্টেম্বরে কলকাতায় কর্মসংস্থানের ছবিটা ছিল বেশ ম্লান। কর্মী নিয়োগের ওয়েবসাইট নকরি ডট কমের সমীক্ষা জানিয়েছে, অগস্টের তুলনায় এই মাসে শহরে কর্মসংস্থান সূচক ১৭% কমে ১০৮৩ হয়েছে। তবে শুধু কলকাতা নয়, সেপ্টেম্বরে যে প্রায় সারা দেশেই চাকরির বাজারে ছিল ভাটার টান, তা-ও স্পষ্ট করেছে নকরি জবস্পিক সূচক। পাঁচটি মেট্রো শহরেই ব্যবসা ও নিয়োগ সূচককে নামতে দেখা গিয়েছে।
কর্মসংস্থান সমীক্ষাটি জানিয়েছে, সাধারণত কর্মী-চাহিদার বিচারে তুঙ্গে থাকতে অভ্যস্ত যে ক্ষেত্র, সেই তথ্যপ্রযুক্তি ও আউটসোর্সিংয়ের মতো তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিল্পেও গত অগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে নিয়োগ কমেছে। গাড়ি, ওষুধ, তেল-গ্যাস, টেলিকম, উৎপাদন, অ্যাকাউন্টস ও হসপিটালিটি শিল্পের নিয়োগকারীরা আপাতত অপেক্ষা করারই পক্ষপাতী। মানব সম্পদ ও ব্যাঙ্কিং শিল্পেও নিয়োগ এক বছর ধরে অপরিবর্তিত। তবে বিশ্ব জোড়া মন্দায় এত দিন সব থেকে ভুগেছে যে ক্ষেত্রটি এবং গত এক বছর যে ক্ষেত্রে সব থেকে কম নিয়োগ হয়েছে, সেপ্টেম্বরে সেই নির্মাণ শিল্পই শুধুমাত্র আশা জাগিয়েছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার সেখানে ১০ শতাংশের বেশি। তবে শিল্পমহলের মতে, দেশের বৃদ্ধির চাকা ফের গতি নিলে চাকরির বাজারও ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী সকলে।
|
ফোটোগ্রাফি শিখতে |
|
ছবি তোলাই যাঁদের প্যাশন। |
কলকাতায় চালু হল ফোটোগ্রাফি শেখানোর প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফোটোগ্রাফি। আনা হয়েছে তিনটি পাঠ্যক্রম।
১) অ্যাডভান্স প্রোগ্রাম ইন ফোটোগ্রাফি। কমার্শিয়াল ফোটোগ্রাফির উপর স্পেশ্যালাইজেশনের সুযোগ থাকবে এতে। স্পেশ্যালাইজেশনের করা যাবে ফ্যাশন/ নেচার ও ওয়াইল্ড-লাইফ/ ফোটোজার্নালিজম/ আর্ট-এ। পাঠ্যক্রমের মেয়াদ ১৮ মাস।
২) ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম ইন কমার্শিয়াল ফোটোগ্রাফ। মেয়াদ ১০ মাস।
৩) ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম ইন ফোটোগ্রাফিক টেকনিক্স। মেয়াদ ১০ মাস। ভর্তি হওয়া যাবে ১০+২ বা স্নাতক পাশ হলে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, বেসিক এবং অ্যাডভান্স ফোটোগ্রাফির উপর নানা রকম কর্মশালাও হবে। পড়ুয়াদের কর্মসংস্থানে সাহায্য করার জন্য প্লেসমেন্ট সেল রয়েছে এখানে।
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
প্রশ্ন: ইংরেজিতে স্নাতক পড়ছি। এখন থেকে সাংবাদিকতা পড়ার জন্য কী ভাবে প্রস্তুত হব? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী কোর্স আছে? যাদবপুরে ভর্তির জন্য যে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেটির ধরন কেমন? রাজ্যের বাইরে আর কোথায় কোথায় বিষয়টি পড়ানো হয়?
অন্তরা পাল, মেদিনীপুর
উত্তর: প্রথমেই জানিয়ে রাখি, রাজ্যে বা রাজ্যের বাইরে স্নাতকোত্তর স্তরে এম এ কিংবা পি জি ডিপ্লোমা হিসেবে সাংবাদিকতা (কোথাও মাস কমিউনিকেশন নাম দিয়ে) পড়ায়, এমন সমস্ত প্রতিষ্ঠানেই ভর্তির জন্য প্রথমে লিখিত একটি পরীক্ষায় বসতে হয়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার তিনটি পাঠ্যক্রম আছে।
• মাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম-এ এমএ।
• পি জি ডিপ্লোমা ইন মাস কমিউনিকেশন।
• পি জি ডিপ্লোমা ইন মিডিয়া স্টাডিজ।
তিনটি ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা প্রবেশিকা হয়। এখানে এম ইন মাস কমিউনিকেশন কোর্সে ভর্তির জন্য অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ করতে হয়। বয়স হতে হয় ৩০ বছরের কম।
|
|
সাংবাদিক হতে চান? পারিপার্শ্বিক ঘটনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন। |
অন্য দিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পি জি ডিপ্লোমা ইন মাস কমিউনিকেশন পাঠ্যক্রমটিতে ভর্তির জন্য যে লিখিত পরীক্ষা হয়, তাতে সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক ও ‘মাল্টিপল চয়েস’ ধরনের প্রশ্ন থাকে। প্রশ্ন করা হয় সাম্প্রতিক বিষয়ের উপর। একটা কথা জানবেন, রাজ্যে বা রাজ্যের বাইরে যে কোনও প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতা পড়তে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষাগুলির ধরন আলাদা হলেও, প্রশ্ন থাকে প্রধানত সাধারণজ্ঞান, সাম্প্রতিক বিষয় ইত্যাদির উপর।
রাজ্যের বাইরে পুণের সিমবায়োসিস ইনস্টিটিউট অফ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন (এস আই এম সি)-এ পড়ানো হয় মাস্টার্স ইন মাস কমিউনিকেশন। এতে ভর্তি হতে গেলে বসতে হয় সিমবায়োসিস ন্যাশনাল অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট বা স্ন্যাপ-এ। এখানে পরীক্ষার বিষয় কিছুটা আলাদা। রিজনিং, গণিত ও ইংরেজিতে বেশি জোর দেওয়া হয়।
রাজ্যের বাইরে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাস কমিউনিকেশন (আই আই এম সি)-এও সাংবাদিকতা পড়া যায়। নয়াদিল্লি, ওড়িশার ঢেঙ্কানলে, অমরাবতী, আইজল ও জম্মুতে রয়েছে আই আই এম সি-র শাখা। এখানে পি জি ডিপ্লোমা ইন ইংলিশ জার্নালিজম, পি জি ডিপ্লোমা ইন রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন জার্নালিজম এবং পি জি ডিপ্লোমা ইন অ্যাডভার্টাইজিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস পাঠ্যক্রম আছে। প্রত্যেকটি পাঠ্যক্রমের জন্য পরীক্ষাও আলাদা হয়। তবে এই সবক’টি কোর্সই যে সব আইআইএমসি শাখায় পড়ানো হয় তা নয়।
দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম আর একটি এশিয়ান কলেজ অফ জার্নালিজম। চেন্নাইয়ের এই প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম। এ ছাড়া, পরীক্ষা দিয়ে যে কোনও বিষয়ের স্নাতকরাই ভর্তি হতে পারেন মনোরমা স্কুল অফ কমিউনিকেশন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানে। এ রাজ্যে বর্ধমান, বিশ্বভারতী, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস কমে এম এ পড়ার জন্য যে লিখিত পরীক্ষা হয়, সেখানেও জেনারেল নলেজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স-এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সমস্ত প্রবেশিকার ক্ষেত্রেই নিয়মিত সংবাদপত্র, সাপ্তাহিক নিউজ ম্যাগাজিন পড়া, নিয়ম করে নিউজ চ্যানেল দেখা, সাম্প্রতিক বিষয়ের উপর যে সব মাসিক পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হয়, সেগুলির উপর নজর রাখা খুবই জরুরি।
প্রশ্ন: একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়তে আগ্রহী। কোথায় কী ভাবে ভর্তি হব?
বিশ্বরূপ বিশ্বাস, দাসনগর
উত্তর: ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়তে সাধারণত ১০+২ পাশ করতে হয়। সরকারি স্তরে সর্বভারতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারেন এনআইএফটি ও এনআইডি-তে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (এনআইএফটি)-তে আছে ব্যাচেলর ইন ডিজাইন-অ্যাকসেসরিজ ডিজাইন, ব্যাচেলর ইন ডিজাইন-ফ্যাশন কমিউনিকেশন, ব্যাচেলর ইন ডিজাইন-ফ্যাশন ডিজাইন-সহ মোট ৭টি পাঠ্যক্রম। বেঙ্গালুরু, ভোপাল, ভুবনেশ্বর, চেন্নাই, কলকাতা, গাঁধীনগর, হায়দরাবাদ, যোধপুর, কাংড়া, মুম্বই, নয়াদিল্লি, পটনা, রায়বরেলি ও শিলং-এ নিফটের শাখা রয়েছে। প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় ফেব্রুয়ারি নাগাদ। আমদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইনিং (এনআইডি)-এ ফ্যাশন ডিজাইনিং নাম দিয়ে কোনও কোর্স না চললেও, টেক্সটাইল ডিজাইন পড়া যায়। জানুয়ারি নাগাদ পরীক্ষা হয়। বিস্তারিত তথ্য পাবেন www.nid.edu ওয়েবসাইটে।
|
উত্তর পেতে চিঠি লিখুন
পেশার দুনিয়ার যাবতীয় খোঁজখবর পাওয়ার জন্য, পেশাদার হিসেবে তৈরি হওয়ার জন্য
প্রশিক্ষণের হাল-হদিস পেতে, পাঠ্যক্রমের খুঁটিনাটি জানতে এবং কেরিয়ার বিশেষজ্ঞের কাছ
থেকে
আপনার যে কোনও ধরনের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেতে চিঠি লিখতে পারেন এই ঠিকানায়-
আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর,
কাজের বাজার,
ব্যবসা বিভাগ,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা- ৭০০০০১।
নিম্নোক্ত ই-মেল-এও আপনার প্রশ্ন পাঠাতে পারেন:
kajerbazar@abp.in |
|
|
|
|
|
|