সুষ্ঠু ভাবে পুজো পরিচালনা ও যে কোনও প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে রামপুরহাটের ৬৫টি পুজো কমিটিকে নিয়ে গঠিত হল ‘রামপুরহাট শহর দুর্গাপুজো সমন্বয় কমিটি’।
ওই সমন্বয় কমিটির সভাপতি দিলীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “২০০৫-০৭ সাল পর্যন্ত শহরে একটি পুজো সমন্বয় কমিটি থাকলেও পরে নানা কারণে তা ভেঙে যায়। ২০০৯ সালে দশমীর রাতে শহরে গোলমালও হয়েছিল। তারপর দু’বছর ভালো ভাবে পুজো হলেও এই বছর পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিচার করে পুজো কমিটিগুলোকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শহরের ৩২টি পুজো কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলির ব্যাপারে প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে। ইতিমধ্যেই দু’বার বৈঠকে বসেছে সমন্বয় কমিটি। কমিটির সদস্যেরা পুজোর দিনগুলিতে শহরের ট্যাপকলগুলিতে দিনে তিনবার করে জল সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়াও পুরসভাকে পুজোর সময়ে জঞ্জাল পরিস্কার ও রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। সমন্বয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি অচিন্ত্য চক্রবর্তী জানান, কমিটির পক্ষ থেকে মহকুমাশাসককে অন্যান্য পুজো কমিটিগুলির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পুজোর সময় পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলির হেনস্থা আটকাতে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছে ওই কমিটি। এ ছাড়াও সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে বিসর্জনের তারিখ হিসেবে ২৪-২৬ অক্টোবর রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটিগুলি নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করার ফলে প্রশাসনিক দিক দিয়ে সুবিধা হবে বলেই মনে করেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়। তিনি বলেন, “পুজো কমিটি ও প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করা হয়েছে। পুরসভা ও পুলিশকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। পুজোর দিন যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয় তার দিকে সব রকম ভাবে লক্ষ রাখা হবে।” অন্য দিকে, পুরপ্রধান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, “প্রত্যেক পুজো কমিটিগুলিকে পুরসভার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক ব্যাজের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুরসভা সব রকম ব্যবস্থা নেবে।” |