জিআরপি-র নতুন ফাঁড়ি চন্দ্রকোনায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া |
চন্দ্রকোনা রোড স্টেশনে জিআরপি-র একটি ফাঁড়ির উদ্বোধন হল বুধবার। উদ্বোধন করেন রেল পুলিশের এডিজি অমলকান্তি সরকার। ছিলেন খড়্গপুরের রেল পুলিশ সুপার দেবাশিস বড়াল। একজন এএসআই, ৪ জন কনস্টেবল ও ৫ জন হোমগার্ড নিয়ে আপাতত এই ফাঁড়ি চালু হল। রেল পুলিশ সুপারের আশ্বাস, পরে আরও পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হবে। এতদিন মেদিনীপুরের পরে বাঁকুড়ায় জিআরপি-র থানা ছিল। কিন্তু মেদিনীপুর স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে তাঁতিগেড়িয়া লেভেলক্রসিং থেকে বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়ি পর্যন্ত খড়গপুর-আদ্রা লাইনের ১৭টি স্টেশন দেখাশোনা করতে হত বাঁকুড়া জিআরপি থানার কর্মীদের। দূরত্বের জন্য অনেক সময় রেলপুলিশের অসুবিধা হত। এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে বাঁকুড়া থেকে পুলিশ আসার পর তদন্ত শুরু হত। অথচ, মেদিনীপুর স্টেশন থেকে এই এলাকার দূরত্ব এক কিলোমিটারের কম। এ নিয়ে বারবার বিক্ষোভ হয়েছে। সমস্যায় ছিলেন যাত্রীরাও। এতদিন অভিযোগ জানাতে তাঁদের বাঁকুড়া জিআরপি থানায় যেতে হত। বাঁকুড়া জিআরপি-র ওসি সুভাষচন্দ্র জানা বলেন, “জনসাধারণের স্বার্থে ওই ফাঁড়ি চালু হয়েছে। ওখানে অভিযোগ জমা করা যাবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে ওই ফাঁড়ির কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছবেন।” এই ফাঁড়ি তৈরির পিছনে অন্য কারণও রয়েছে। এই রেলপথের মধ্যে জঙ্গলমহলের একটা বিস্তীর্ণ অংশ রয়েছে (ভাদুতলা, গোদাপিয়াশাল, শালবনি, চন্দ্রকোনা রোড)। এ ছাড়াও গড়বেতা, পিয়ারডোবা, বিষ্ণুপুর-সহ আরও কয়েকটি স্টেশন রয়েছে। কিন্তু কোনও স্টেশনেই জিআরপি-র কোনও ফাঁড়ি ছিল না। তার উপর বাঁকুড়া-রায়নগর বিডিআর রেলপথের স্টেশনগুলিও বাঁকুড়া জিআরপি থানার পুলিশকে দেখাশোনা করতে হয়। নতুন ফাঁড়ি পেয়ে খুশি জিআরপি কর্মীরাও।
|
এসএসসির খাতা দেখারভার তৃতীয় পরীক্ষককে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তৃতীয় পরীক্ষক নিয়োগ করে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার খাতার যথাযথ মূল্যায়নের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসি পরীক্ষার প্রতিটি উত্তরপত্র দু’জন পরীক্ষক আলাদা ভাবে পরীক্ষা করেন। ওই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কোনও তৃতীয় পরীক্ষককে দিয়ে আবেদনকারীদের উত্তরপত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সৌমিত্র পাল। শর্মিষ্ঠা মাঝি-সহ ১৪ জন পরীক্ষার্থী ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন। কিন্তু পরীক্ষার ফলে তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ওই ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে কয়েক জন শিক্ষক এবং কয়েক জন শিক্ষাকর্মী-পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। তথ্য জানার অধিকার আইনে তাঁরা পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার আর্জি জানান মালদহ জেলা তথ্য কমিশনারের কাছে। উত্তরপত্রের প্রতিলিপি দেওয়া হয় তাঁদের। দেখা যায়, কিছু প্রশ্নে তাঁরা উত্তর লিখলেও পরীক্ষক নম্বর দেননি। আবেদনকারীদের দাবি, তাঁরা ওই সব প্রশ্নের ঠিক উত্তর লিখেছেন। ওই সব উত্তরপত্রের প্রতিলিপি পাঠিয়ে এর পরে তাঁরা এসএসসি-কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচারের আবেদন জানান। কিন্তু সাড়া মেলেনি। আবেদনকারীরা হাইকোর্টে মামলা করেন। আবেদনকারীদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, দেখা যাচ্ছে, ঠিক উত্তর লিখেও এই পরীক্ষার্থীরা নম্বর পাননি। কাজেই তাঁদের নম্বর পাওয়া উচিত। তথ্য জানার অধিকার আইন না-থাকলে আবেদনকারীরা সত্য জানার সুযোগ পেতেন না। হাইকোর্ট প্রাথমিক ভাবে আবেদনকারীদের বক্তব্য গ্রাহ্য বলেই মনে করে। এসএসসি-র পক্ষে বলা হয়, দু’জন পরীক্ষক পৃথক ভাবে উত্তরপত্র পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু এসএসসি-র নিয়মবিধিতে রিভিউ বা স্ক্রুটিনির ব্যবস্থা নেই।
|
এক ছাতায় কর্মী সংগঠন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তৃণমূল সমর্থক সরকারি কর্মীদের ১৮টি সংগঠন অবশেষে এক ছাতার তলায় এল। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, “নতুন সংগঠনের নাম হয়েছে ‘ইউনিফায়েড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’। এ বার থেকে এই সংগঠন ছাড়া অন্য কোনও সংগঠন সভা-সমিতি করতে পারবে না। কলকাতা থেকে ব্লক কোথাও না। যা হবে, সব নতুন সংগঠনের নামে।’’ একই দলের সমর্থনে বেশ কয়েকটি সংগঠন গজিয়ে ওঠায় সমস্যা হচ্ছিল। পার্থবাবু জানান, খুচরো ব্যবসা, বিমা ও পেনশনে বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন সমর্থন করে সভা করবে নতুন সংগঠন। নভেম্বর-ডিসেম্বরে রাজ্য কনভেনশন করে নতুন কমিটি গড়া হবে। |