আকারে আধখাওয়া সিগারেটের টুকরোর মতো দেখতে জিনিসটা। তবে বেশ চকচকে। এটাকে নিয়েই এই মুহূর্তে কিছুটা দুশ্চিন্তায় নাসার বিজ্ঞানীরা। চামচের মতো হাত দিয়ে মঙ্গলের মাটি খুঁচিয়ে তোলার সময় জিনিসটা আবিষ্কার করেছে নাসার মঙ্গলযান কিউরিওসিটি। তার নিজের শরীর থেকেই ওটি খসে পড়েছে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। এবং সে ক্ষেত্রে কিউরিওসিটির নমুনা সংগ্রহে ব্যাঘাত ঘটবে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।
মঙ্গলের যে জায়গা থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করছিল কিউরিওসিটি, তার নাম ‘রকনেস্ট’। বালি-মাটির সঙ্গে উঠে আসে ওই চকচকে জিনিসটিও। এর কিছু পরেই নাসা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে, “কিউরিওসিটির রোবোটিক হাতের ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখা হল। কারণ নমুনা সংগ্রহের সময় পাওয়া চকচকে জিনিসটি কিউরিওসিটির অংশও হতে পারে।” নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) জানিয়েছে, কিউরিওসিটি নিজেই ওই ‘আজব বস্তু’টির ছবি তুলে পাঠাচ্ছে নাসাকে। আশা করা যাচ্ছে ওই ছবি দেখেই বোঝা যাবে জিনিসটি আসলে কী। তবে চকচকে বস্তুটি যে কিউরিওসিটিরই কোনও খসে পড়া অংশ, এই তত্ত্বটাই এখনও পর্যন্ত সব থেকে জোরদার। কিউরিওসিটি নিয়ে কাজ করছেন যে বিজ্ঞানীদল, তার তরফে সারা মিলকোভিচও তেমনটাই মনে করেন। তাঁর কথায়, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো রোভারের বর্জ্য পদার্থ। এমনিতে তেমন কিছু নয়। তবে হ্যাঁ, যদি এগুলো কোনও ভাবে কিউরিওসিটির রসায়নের গবেষণাগারে ঢুকে পড়ে, তা হলে বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলে গোলমাল দেখা দিতে পারে।”
|
সৃষ্টি চলে গিয়েছিল আগেই। এ বার চলে গেলেন স্রষ্টাও। বিশ্বের প্রথম ক্লোন করা ভেড়া ডলি-র অন্যতম স্রষ্টা অধ্যাপক কিথ ক্যাম্পবেল প্রয়াত হলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজলিন ইনস্টিটিউটের কৃত্রিম গবেষণাগারে ১৯৯৬ সালে ডলিকে তৈরি করে এক বিজ্ঞানীদল। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাম্পবেল। ১৯৯৬-এর ৬ জুলাই জন্মেছিল ডলি। ছ’টি সন্তানও হয় তার। ২০০৩-এ মারা যায় ডলি। পিটিআই |