নিজের ‘পৃথিবীর’ বাড়িতে বসে শেষ কবে তারিয়ে তারিয়ে আইসক্রিম খেয়েছিলেন, হয়তো মনে করতে পারবেন না তিনি। অনেক দিন ধরে যে মহাকাশেই আস্তানা গেড়েছেন। অতঃ কিম? সেই ভাবনা থেকেই বোধহয় আইসক্রিমের মহাকাশযাত্রার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। তিনি সুনীতা উইলিয়ামস। অনেক দিন যাবৎই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের(আইএসএস) বাসিন্দা সুনীতা। সম্প্রতি তাঁর এবং তাঁর বাকি দুই ‘প্রতিবেশীর’ জন্যই মহাকাশে আইসক্রিম পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
কী রকম সেই পরিকল্পনা? আসলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য নতুন করে রসদ পাঠানোর কথা ভাবছিল নাসা। মূলত এই সব জিনিসপত্র নিয়েই গত রবিবার নাসার বিশেষ মালবাহী রকেট (ক্যাপসুল) পাড়ি দেয় মহাকাশে। নাসা সূত্রে খবর, রবিবার রাতেই ক্যাপসুলটিকে কক্ষপথে স্থাপন করেন বিজ্ঞানীরা। আগামী বুধবার সেটির আইএসএসে পৌঁছনোর কথা।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, ক্যাপসুলটিতে মহাকাশে পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রায় ৪৫০ কেজি সরঞ্জাম তো রয়েছেই। তা ছাড়াও রয়েছে এক বিশেষ ধরনের ‘ফ্রিজ’। সেখানেই ভরা রয়েছে জিভে জল আনা চকোলেট-ভ্যানিলার মিশ্র স্বাদের আইসক্রিম। নাসার ম্যানেজার মাইকেল সাফ্রেদিনির ভাষায়, “বোনাস ফুড”। শনিবার ক্যাপসুলটির উৎক্ষেপণের আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে যার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছেন তিনি।
আইসক্রিমের কথা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন সুনীতা। বিষয়টি নিয়ে এতটাই উৎসাহী তিনি যে ভিডিওর মাধ্যমে কক্ষপথে ক্যাপসুলটিকে ঢুকতে দেখে বলেই ফেলেছেন, “ওকে ধরার জন্য মুখিয়ে আছি।” যদিও আইসক্রিম হাতে পেতে এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি, সে কথা বিলক্ষণ জানেন সুনীতা। তাই বুধবারের দিকে সোৎসাহে তাকিয়ে তিনি। বুধবারের অপেক্ষায় অবশ্য নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের বিজ্ঞানীরাও। তবে সুনীতার উৎসাহের নিরিখে তাঁদের উত্তেজনা কিছুটা হলেও ফিকে।
মহাকাশে বসে চকোলেট-ভ্যানিলা আইসক্রিম খাওয়া তো আর যে সে কথা নয়। |