|
|
|
|
মমতা যাচ্ছেন পরশু |
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভাঙচুর কার্যালয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
দু’দিন পরেই মুখ্যমন্ত্রীর যে কারখানা উদ্বোধনে যাওয়ার কথা, সেখানেই তৃণমূল নেতাদের দু’টি গোষ্ঠীর নেতাদের কোন্দলে ভাঙচুর হল ঠিকাশ্রমিক কার্যালয়। হলদিয়ার ওই ভোজ্য তেল তৈরির কারখানায় ইতিমধ্যেই দু’টি ইউনিয়ন রয়েছে। যদিও তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি এখনও কোনওটিকেই অনুমোদন দেয়নি।
আগামী মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর সফরে গিয়ে হলদিয়ায় জেবিএল সংস্থার ওই কারখানা উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শুক্রবার রাতে সেখানে তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার অনুগামীদের ইউনিয়নের অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। লুঠপাটও করা হয় বলে অভিযোগ। শিউলি-অনুগামী সংগঠনের সম্পাদক ইসলামুদ্দিন দিন স্থানীয় ভবানীপুর থানায় ‘শুভেন্দু অনুগামী’ সাধন জানা-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দলীয় অফিস ভাঙচুর ও লুঠের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও ইসলামুদ্দিনের অভিযোগ। সাধনবাবুরাও কারও নাম না করে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে শিউলিদেবী বা শুভেন্দুবাবু এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কারখানার গেটের বাইরে ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের নামে তৃণমূলের একটি অস্থায়ী অফিস রয়েছে। এক সময়ে শিউলি সাহার নেতৃত্বে তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতি সাধন জানাই তার দায়িত্বে ছিলেন। তবে পুরভোটে প্রার্থী-পদ পাওয়ার পর থেকে ‘শুভেন্দু অনুগামী’ বলেই নিজেকে পরিচয় দিতে অভ্যস্ত সাধনবাবু। আইএনটিটিইউসি-র অনুমোদন না মিললেও মাস ছ’য়েক আগে ইউনিয়নটি ‘রেজিস্ট্রেশন’ পায়। ইউনিয়নের সভাপতি শিউলি সাহা, কার্যকরী সভাপতি পিন্টু ভট্টাচার্য। কিন্তু সম্প্রতি ‘প্রগতিশীল ঠিকাশ্রমিক ইউনিয়ন’ নামে অন্য একটি সংগঠনেরও ‘রেজিস্ট্রেশন’ হয়েছে, যার সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী ও কার্যকরী সভাপতি সাধন জানা।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনে আসবেন বলে কারখানায় আপাতত শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে ঠিকাশ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঠিকাশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পিন্টু ভট্টাচার্যের দাবি, “বিধায়ক শিউলি সাহার নেতৃত্বে গড়া এই ইউনিয়নের সঙ্গে শ্রমিকেরা রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগের প্রস্তুতি সহ্য করতে না পেরেই সাধন জানার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালিয়েছে।” সাধনবাবুর পাল্টা দাবি, “ওটা আসলে আমাদের পার্টি অফিস। যারা অভিযোগ করছে, তারা সিপিএম থেকে দলে এসে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নেত্রী আসার আগে প্রচারের আলোয় আসতে নিজেরাই অফিস ভেঙে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।” এসডিপিও (হলদিয়া) অমিতাভ মাইতি বলেন, “দুই পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
|
কাঁদনাশোলে ধৃত মাওবাদী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রাষ্ট্রদ্রোহ, নাশকতা ও খুনের একাধিক মামলার অভিযুক্ত এক মাওবাদীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত বছর সাতাশের মানসিংহ মুর্মু ওরফে সুজয়ের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর থানার পাথরনাশা গ্রামে। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষের দাবি, শনিবার সকালে গোপনসূত্রে খবর পেয়ে গোপীবল্লভপুরের কাঁদনাশোলের জঙ্গল থেকে মানসিংহকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তাঁকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানায়, মাওবাদী নেতা রঞ্জন মুণ্ডার স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন মানসিংহ। স্বয়ংক্রিয় বন্দুক চালাতে দক্ষ তিনি। তবে এ দিন ধৃতের কাছ থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয় নি। এসপি জানান, গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম থানা এলাকায় বেশ কিছু খুন, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় মানসিংহ অভিযুক্ত। মাওবাদী স্কোয়াডে তিনি ‘সুজয়’ নামে পরিচিত। প্রতিবেশী ওড়িশা রাজ্যেও একটি মাওবাদী হামলার ঘটনায় মানসিংহ অভিযুক্ত। |
|
|
|
|
|