সজ্জায় চমক নেই। মনে হবে পরিচিত কেউ। ময়নাগুড়ির আমগুড়ি গ্রামে এ বারও দেবী আবির্ভূত হবেন এ ভাবে রাজবংশী বধূ সাজে। এখানে দেবীর গড়ন থেকে পোশাক সবেতেই মিলবে মঙ্গোলীয় জনজাতির ছেঁয়া। গোড়ালির উপরে তাঁতের শাড়ি। সাধারণ অলঙ্কার। দেখে মনে হবে তিনি তিস্তাপাড়ের কোনও চাষি পরিবারের বধূ। পুজোর আয়োজক আমগুড়ি গ্রামের বসুনীয়া পরিবার। এ বার ২০২ বছরে পা রাখবে তাঁদের আয়োজন। দুই শতাব্দীতে ওই পরিবারের প্রজন্ম পাল্টেছে। শুধু পাল্টায়নি দেবীর গড়ন। বসুনীয়া পরিবারের ষষ্ঠ প্রজন্ম পেশায় শিক্ষক সুনীল বসুনীয়া বলেন, “তিস্তা পাড়ের রাজবংশী সমাজ দেবীকে ঘরের মেয়ে মনে করে। মেয়েরা যেমন দেখতে ঠিক সে ভাবে প্রতিমা তৈরি করা হয়।” ১৮১০ সালে পুজোর সূচনা করেন সাবেক চাঁপগড়ের সামন্তপ্রভু ধনবর বসুনীয়া। ওই সময় দিনাজপুর থেকে প্রতিমা আনা হত। মহাঅষ্টমীতে পুজো মন্ডপে বসবে সাহিত্য বাসর। সেখানে উদ্বোধন হবে রাজবংশী পত্রিকা ‘উজানি’। |
ধামসা মাদলের ছন্দে দেবীকে বরণ করবেন উত্তরের আদিবাসী ছেলেমেয়েরা। গরুমারা জঙ্গলের কোলে ময়নাগুড়ির রামসাই বাজারে ওই পুজোর আয়োজন করেছে শক্তি সঙ্ঘ। পুজোর কয়েকটা দিন নাচগান তো থাকবেই। এ ছাড়াও মহানবমীতে বসবে মেলা। পুজো কমিটির কর্তা বিনয় ঝা বলেন, “পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ছেলেমেয়েরা নাচ ও গানের মহড়া দিচ্ছেন।” গরুমারা বেড়াতে এসে পর্যটকরা ওই পুজোয় ভিড় করেন। আয়োজকদের দাবি এ বার ভিড় বেশি হবে। ভাল মেলা জমবে। |