নয় নয় করে কেটে গিয়েছে উৎকণ্ঠার ছত্রিশটা ঘণ্টা। লোকালয় থেকে শুরু করে বন-জঙ্গল, খাল-বিল, পুলিশের শ্যেনদৃষ্টি থেকে বাদ পড়েনি কিছুই।
তবু মিলল না আলোর রেখা। একরত্তি মেয়েটা যে কোথায় উধাও হয়ে গেল, কী অবস্থাতেই বা রয়েছে, তা এখনও জানে না পুলিশ। জানে না তার পরিবারও।
এপ্রিল জোন্স। ব্রিটেনের মধ্য ওয়েলসের মাশেনলেথের বাসিন্দা এই ৫ বছরের ছোট্ট মেয়েটি সোমবার থেকে নিখোঁজ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, অপহরণই করা হয়েছে তাকে। নিখোঁজ হওয়ার আগে সে বাড়ির কাছেই খেলছিল বলে জানা যাচ্ছে তার পরিবারের সূত্রে। সে দিন সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ নেই। অপহরণে জড়িত সন্দেহে মার্ক ব্রিজার নামে এপ্রিলের পরিবারের এক পরিচিত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এপ্রিল কোথায়, সে ব্যাপারে এখনও অন্ধকারেই তারা। |
কিছুটা মরিয়া হয়েই আজ এক সাংবাদিক বৈঠক করেন এপ্রিলের মা কোরাল জোন্স। মেয়ের খোঁজ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, “ছত্রিশটা ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ও আমাদের কাছে নেই। কেউ না কেউ তো জানে ও কোথায় রয়েছে। দয়া করে তিনি পুলিশকে সাহায্য করুন।” মেয়ের জন্য উৎকণ্ঠা আর আশঙ্কায় কান্নায় ভেঙে পড়েন কোরাল। এপ্রিলের দাদু ডাই স্মিথকে পাশে নিয়ে তাঁর আর্তি, “আমরা কিছু একটা জানতে চাই এপ্রিলের সম্পর্কে। দয়া করে, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।”
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে কিছুটা প্রথা ভেঙেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এপ্রিলকে অপহরণে সন্দেহভাজন হিসেবে মার্ক ব্রিজারের নাম ঘোষণা করাটা তেমনই একটা পদক্ষেপ। কোরালদের সাংবাদিক সম্মেলনের কিছু আগে পুলিশের তরফে সরকারি ভাবে এই ঘোষণা করা হয়। ব্রিজারের নীল রঙের গাড়িও আটক করেছে পুলিশ। আজ সাংবাদিক বৈঠকে ব্রিজার এবং সেই গাড়ির ছবি দেখিয়ে ঘোষণা করা হয়, সোমবার বিকেল ৫টা থেকে গত কাল বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত ব্রিজার অথবা ওই গাড়িটিকে কেউ যদি দেখে থাকেন, তা যেন পুলিশকে জানানো হয়। এপ্রিলের খোঁজে নেমে পড়েছেন বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবীও। প্রায় জনা পঞ্চাশ স্বেচ্ছাসেবী পুলিশের হাতে হাত মিলিয়ে পাহাড়ি এলাকায় খুঁজছেন এপ্রিলকে। আরও জনা চল্লিশ মাশেনলেথের আশপাশের বিভিন্ন জলাশয়, ঝিলে খুঁজছেন এপ্রিলকে। লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় এপ্রিলকে খুঁজে দেওয়ার আর্তি জানিয়ে বসানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিনও। |