অভিযুক্ত তৃণমূল
সরকারি বাড়ি দখল করে দলীয় অফিস
ধিগ্রহণ করা সরকারি বাড়ি জবরদখল করে দলীয় অফিস করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ওখানে দলীয় অফিস করা হয়নি। মাঝেমধ্যে দলীয় কর্মীরা গিয়ে ওখানে বসে গল্পগুজব করেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক শেখর সেন বলেন, “এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। তারপর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, হোগল নদীর উপর সোনাখালি-বাসন্তীর মধ্যে সংযোগকারী হোগল সেতু নির্মাণের জন্য সমিতি ২০০৪-’০৫ সালে প্রস্তাবিত এলাকার দুই পাশের প্রায় ১৪ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে। ২০০৬ সালে সেতু নির্মাণের কাজ শেয় হয়ে যায়। বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির আরএসপি-র সহকারী সভাপতি মিন্টু ইসলাম বলেন, “সেতু নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদের নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতি ওই এলাকার রায়তী সম্পত্তি ন্যায্য মূল্য দিয়ে অধিগ্রহণ করে। পরে ওই জমি পিডব্লুডি-র হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। সেই সময় অধিগৃহীত জমির মধ্যে স্থানীয় কুণ্ডুবাবুদের একটি দোতলা বাড়ি ছিল। পঞ্চায়েত সমিতি সেই বাড়িটিও কিনে নিয়েছিল।”
জয়ন্তবাবুর অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্টু ইসলাম বলেন, “সেতুর দু’পাশের সরকারি
জমির দখলদারি রুখতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে গাছ লাগানো হয়েছে।—নিজস্ব চিত্র।
ক্যানিং ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে সরকারিভাবে অধিকৃত বাড়িটি তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর জবরদখল করে দলীয় অফিস তৈরি করে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরমা বৈদ্য বলেন, “এ বিষয়ে বিডিও, এসডিও-সহ প্রশাসনের সর্বস্তরে জানানো হয়েছে।” প্রাক্তন সেচমন্ত্রী ও বাসন্তীর বিধায়ক আরএসপি-র সুভাষ নস্কর বলেন, “সেতু নির্মাণের জন্য যখন জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয় সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতিতে বসে সর্বদলীয় বৈঠক করে জমি ও কুণ্ডুবাবুদের বাড়িটি অধিগ্রহণ করা হয়। এখন তৃণমূল ক্ষমতায় এসে সরকারি বাড়ি জবরদখল করে দলীয় অফিস করেছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
গোসাবার বিধায়ক তৃণমূলের জয়ন্ত নস্করের পাল্টা বক্তব্য, “দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটি খালি পড়ে ছিল। ওখানে সমাজবিরোধীদের আড্ডা চলত। তাই আমাদের দলের ছেলেরা বাড়িটিকে নিজেদের বসার জায়গা করেছে।” তাঁর আরও যুক্তি, “সরকার অধিগৃহীত জমির মধ্যে আরএসপি এবং সিপিএম দোকান করে নিজেদের লোকেদের বসিয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়াও সেতুর অন্য দিকে সরকারি জমিতে সিপিএমের পার্টি অফিস রয়েছে। যদি সবাই সরকারি জমির দখলদারি ছেড়ে দেয় তা হলে আমরাও দলের ছেলেদের বলব বাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.