বাণেশ্বরপুর রামচন্দ্রপুর আনুলিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুল |
স্থাপিত ১৯১৪।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৮ জন।
পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকা ৫ জন। |
|
|
অরূপকুমার নায়ক
(প্রধান শিক্ষক) |
|
পাঠশালা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, উন্নয়নের দীর্ঘ পথ পরিক্রমা |
১৯১৪ সালে গুরুমশাইয়ের পাঠশালা হিসাবে যার প্রতিষ্ঠা, সে উচ্চ প্রাথমিক, মধ্য ইংরেজি, জুনিয়র হাইস্কুল, হাইস্কুল এই সব স্তর পেরিয়ে আজ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। মাধ্যমিক স্তর শুধু ছাত্রদের জন্য, উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রী উভয়ের জন্য। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় বারোশো। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। আমাদের স্কুলের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি রাজ্যস্তরে নানা প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। এলাকায় দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। তাই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রদের জন্য দ্বিপ্রাহরিক আহারের ব্যবস্থা খুবই কার্যকরী। এই ব্যবস্থাকে সফল করার কাজে এবং সার্বিক শৃঙ্খলারক্ষায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সম্মিলিত প্রয়াস সর্বদাই বর্তমান। ২০০০ সালের আগে পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে সাধারণ মানুষের দানই ছিল মুখ্য অবলম্বন। তারপর থেকে চলছে সরকারি অনুদানের সদ্ব্যবহার। আমাদের বিদ্যালয়ের পরিচালনা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল, স্টাফ কাউন্সিল এবং পরিচালন সমিতির পারস্পরিক বোঝাপড়া। বর্তমানে চলছে ২০১৩-১৪ সাল জুড়ে বিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি। স্টাফ কাউন্সিলের সঙ্গে অগণিত প্রাক্তনী ও শুভাকাঙ্খীর সমন্বয়ে এই উদ্যোগকে আমরা নিঃসন্দেহে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলব বলে বিশ্বাস রাখি। |
আমার চোখে
রাহুল দলুই
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট বয়) |
|
|
বিদ্যালয়ে বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি শৃঙ্খলা, জ্ঞান, ভদ্রতা, নম্রতা প্রভৃতি শিক্ষা লাভ করা যায়। বিদ্যালয় স্বাধীন চিন্তাভাবনার উন্মুক্ত আধার। এই স্কুলে সে সবের সুযোগ আছে। সে কারণে আমি গর্বিত। সব থেকে ভাল লাগে শিক্ষকদের পড়ানোর পদ্ধতি। শুধু পড়াশোনাই নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধূলা প্রভৃতি নানা বিষয়ে শিক্ষকেরা আমাদের উৎসাহ দেন। স্কুলে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার আছে। কিন্তু সেখানে এক জন স্থায়ী গ্রন্থাগারিক দরকার। |