গেইলের দাপটে কাত ইংল্যান্ড
সুপার ওভারে নাটকীয় জয় জয়বর্ধনেদের
সুপার এইটের প্রথম যুদ্ধই যে এ রকম টানটান উত্তেজনার চিত্রনাট্য নিয়ে হাজির হবে, ঠাসা স্টেডিয়ামের দর্শককুল বোধহয় ভাবতেও পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে শ্রীলঙ্কার শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রান। টি-টোয়েন্টির বাজারে যা তোলা কোনও ব্যাপারই নয়। কিন্তু সেই ম্যাচই চলে গেল কি না সোজা সুপার ওভারে! নির্ধারিত কুড়ি ওভারের ওভারের শেষে দু’দলই দাঁড়িয়ে পড়ল এক স্কোরে। নিউজিল্যান্ডের ১৭৪-৭ স্কোরের জবাবে শ্রীলঙ্কাও থেমে গেল ১৭৪-৬ স্কোরে! তবে শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে জয় তুলে নিল মাহেলা জয়বর্ধনের টিমই।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবশ্য জেতার জন্য সুপার ওভার পর্যন্ত যেতে হয়নি। তারা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল ১৫ রানে। ম্যাচের নায়ক সেই ক্রিস গেইল। প্রথমে ব্যাট হাতে ৩৫ বলে ৫৮। সঙ্গে একটা উইকেটও পেয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৭৯-৫ স্কোরের পিছনে অবদান রয়েছে জনসন চার্লসেরও (৫৬ বলে ৮৪)। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই জোড়া ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। পরপর আউট হয়ে যান কাইসওয়েটার এবং লিউক রাইট। ওই বিপর্যয় থেকে ইংল্যান্ড থেকে টেনে তোলেন হেলস (৬৮) এবং ইয়ন মর্গ্যান (৭১ নটআউট)। কিন্তু তাঁদের লড়াই যথেষ্ট ছিল না। ইংল্যান্ড শেষ করে ১৬৪-৪ স্কোরে।
মালিঙ্গায় আটকে গেল নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার। ছবি: এএফপি
শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে শেষ ওভারে দুর্দান্ত বল করে লড়াই সুপার ওভারে ঠেলে দিয়েছিলেন যিনি, সেই টিম সাউদিই সুপার ওভারে দিয়ে বসলেন ১৩ রান। জবাবে লাসিথ মালিঙ্গার আগুনে পেসের সামনে ৭ রানের বেশি তুলতে পারেননি ব্রেন্ডন ম্যাকালামরা। এবং সুপার এইটের প্রথম ম্যাচই জিতে রাখায় সেমিফাইনালের দৌড়ে ভাল রকম এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
এ দিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভাল করেছিল নিউজিল্যান্ড। রব নিকোল মাত্র ৪০ বলে ৫৮ করে যান। মার্টিন গুপ্টিল (৩৪), কিংবা ব্রেন্ডন ম্যাকালামকেও (২২ বলে ২৫) মন্দ দেখায়নি। ম্যাচে বিশেষ ভাল করতে পারেননি মালিঙ্গা। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে একটি উইকেট তিনি পান। বরং কুলশেখরা এবং ধনঞ্জয় দু’টো করে উইকেট তুলে নেন। মালিঙ্গা মেজাজে ফিরলেন চূড়ান্ত নাটকীয় মুহূর্তে। সুপার ওভারে তাঁর সামনে নড়াচড়াই করতে পারলে না ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। একবার খোঁচা দিয়েও বেঁচে গেলেন। ওই ওভারে আবার একটা রান আউটও হল।
দিলশান টিকে থাকলে অবশ্য ম্যাচটা নির্ধারিত কুড়ি ওভারেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। পাঁচটা বাউন্ডারি, তিনটে ওভার বাউন্ডারি সমেত ৫৩ বলে ৭৬ করে গেলেন দিলশান। যা সুপার এইটের শ্রীলঙ্কার বাকি প্রতিপক্ষদের খুব স্বস্তিতে রাখবে না। জয়বর্ধনেকেও (২৬ বলে ৪৪) ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে। দিলশান যখন রান আউট হন, তখন শ্রীলঙ্কার হাতে ছিল দশ বল। দরকার ছিল ১৪ রান। আপাত-দৃষ্টিতে সহজ কাজ, কিন্তু সেটাকেই কঠিন করে ফেললেন থিসারা পেরিরা এবং থিরিমানে। প্রথম জন ফ্র্যাঙ্কলিনের বলে বোল্ড। দ্বিতীয় জন রান আউট। শেষ ওভারে ফ্র্যাঙ্কলিনের বিরুদ্ধেও বিশেষ সুবিধা করা গেল না। ম্যাচ চলে গেল সুপার ওভারে।
তার পর? কী আবার? মালিঙ্গা-ম্যাজিক!




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.