টুকরো খবর |
ওন্দায় মিলল ক্যামেলিয়ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
|
ছবি: শুভ্র মিত্র |
এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে পড়তেই রঙ বদলে যাচ্ছিল। আম গাছের ডালে গাঢ় সবুজ তো পরক্ষণে পাশের পেয়ারা গাছের ডালে ঝাঁপাতেই রঙ বদলে হয়ে গেল হাল্কা বেগুনি। এমন রঙের খেলা দেখানো গিরগিটি তো গাঁ-গঞ্জে দেখা যায়। কিন্তু লম্বায় প্রায় এক ফুট ছুঁইছুঁই এ জীবটা যেন একটু অন্যরকম। বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে, সারা রাত বাড়িতে ঝুড়ি চাপা দিয়ে রাখেন। বলা তো যায় না, যদি কুকুর- বেড়ালে টেনে নিয়ে যায়! খবর পেয়েই বনকর্মীরা সাত সকালে উদ্ধার করতে এলেন। বলে গেলেন, “এটা ঠিক গিরগিটি নয়। ওরই দূর সর্ম্পকের আত্মীয় বলা যেতে পারে। ওর নাম ক্যামেলিয়ন।” ওন্দার আগড়দা গ্রামে মঙ্গলবার বিকেলে ওই ক্যামেলিয়নটির দেখা মেলে। বুধবার বিষ্ণুপুর রেঞ্জ অফিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ ক্যামেলিয়নটি একটা গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে পড়ে। তখনও ওর রঙ বদলে যাওয়া, চেহারার অন্য গড়ন নজরে আসে। এক বাসিন্দা অজয় সিংহের কথায়, “অদ্ভূত দর্শনের ওই জীবটিকে দেখা যায় না। গাছে গাছে ওর রঙ বদলে যাচ্ছিল।” তাঁদের মনে হয়, বন দফতরকে খবর দেওয়া দরকার। রাতে ক্যামেলিয়নটিকে ঝুড়ি চাপা দিয়ে রাখেন। দেওয়া হয় জলে ভেজানো সামান্য মুড়ি, আলু সিদ্ধ। তবে ক্যামেলিয়নটি আলু খেলেও মুড়ি খায়নি। বুধবার তাঁরা বিষ্ণুপুর রেঞ্জ অফিসে খবর দেন। বিষ্ণুপুরের রেঞ্জ অফিসার প্রকাশ ওঝা বলেন, “ক্যামেলিয়ন তেমন দেখা যায়না। অবশ্যই বিরল প্রজাতির। জল-জঙ্গল ঘেরা এলাকায় থাকতে ভালবাসে।” তিনি জানান, সুস্থ থাকায় ক্যামেলিয়নটিকে তাঁরা স্থানীয় জঙ্গলে পরে ছেড়ে দেন।
|
জীবন্ত গন্ডারের খড়্গ কাটা হল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
|
খড়্গ কাটা আহত গন্ডারটির বাঁচার লড়াই।
কার্বি আংলঙের পার্কু পাহাড়ে উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি। |
জীবন্ত অবস্থায় গন্ডারের খড়্গ কেটে পালাল শিকারিরা। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙায়। বন বিভাগ সূত্রে খবর, গত কাল রাতে বানভাসি বাগোরি রেঞ্জ থেকে বের হয়ে উল্টোদিকে, কার্বি আংলং-এর পার্কু পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল গন্ডারটি। আজ ভোরে শিকারিরা তাকে পাঁচটি গুলি করে। জখম গন্ডারটিকে না মেরেই তার খড়্গটি কেটে নেওয়া হয়। পুলিশের ধারণা, পাকা শিকারি নয়, সম্ভবত টাকার লোভে কেপিএলটি জঙ্গিরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আপাতত যন্ত্রণাকাতর গন্ডারটি মৃত্যুর অপেক্ষায়। চেষ্টা চলছে তাকে বাঁচানোর। পশু চিকিৎসক অ্যান্টনি থাংচে জানান, স্ত্রী গন্ডারটির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। সেটিকে ঘুম পাড়াবার জন্য গুয়াহাটির পশুচিকিৎসা মহাবিদ্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের খবর পাঠানো হয়েছে। আগামী কাল, গন্ডারটিকে ঘুম পাড়াবার পরেই চিকিৎসা শুরু করা যাবে। এখন অবধি গন্ডারটির কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। যন্ত্রণায় হিংস্র হয়ে রয়েছে গন্ডারটি। জখম গন্ডারকে ছুঁয়ে দেখতে গিয়ে এক গ্রামবাসী জখমও হয়। অন্য দিকে, আজ বাগোরি রেঞ্জে বন্যার জলে একটি গন্ডারের দেহ ভেসে আসে। তারও খড়্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। গত ৯ মাসে ১৪টি গন্ডার শিকারিদের হাতে প্রাণ দিল।
|
সাপের ছোবলে গোঘাটের গ্রামে মৃত্যু দু’জনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
দু’টি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। পুলিশ ও আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল সূত্রের খবর, গোঘাটের হাজিপুরে ভারতী রায় (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কাটে। হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, খানাকুলের সাপদ গ্রামের শেখ মবিজুলকেও (১৪) ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে ছোবল মারে। হাসপাতালে আনা হলেও রাতেই তার মৃত্যু হয়। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে ১২ জন সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হল এই হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনেক দেরিতে রোগীকে আনা হচ্ছে। স্থানীয় ওঝা-গুণিনের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন মানুষ। যে কারণে বিপদ বাড়ছে। এ সব বন্ধ হওয়া দরকার।” সুপার জানান, সাপে কাটা রোগীকে কখনও ওঝা-গুণিনের ভরসায় ছাড়া উচিত নয়। সঙ্গে সঙ্গে আনা উচিত নিকটবর্তী হাসপাতালে। না হলে মৃত্যু হতে পারে। এ নিয়ে সচেতনতা শিবির আয়োজন করতে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
|
বাঘিনি হত্যায় বরখাস্ত চিড়িয়াখানার ৪ রক্ষী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বাঘিনী হত্যার ঘটনায় ইটানগর চিড়িয়াখানার তিন নৈশ প্রহরী ও এক বনরক্ষীকে বরখাস্ত করল অরুণাচল প্রদেশ বন দফতর। ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ইটানগর চিড়িয়াখানায় ঢুকে ছ’বছর বয়সী একটি বাঘিনীকে হত্যা করে। তার মাথায় তিনটি বুলেটের ক্ষত ছিল। হত্যার পরে বাঘিনীটিকে খাঁচা থেকে বের করে, শরীরের নিম্নাঙ্গ ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটাও হয়েছিল। উপ-মুখ্য বনপাল পি রিংগু জানান, নৈশ প্রহরীরা খেতে গিয়েছিলেন। সেই ফাঁকেই এই কাণ্ড। সেই দিন রাতে পাহারার দায়িত্বে থাকা তিন ঠিকা পাহারাদার ও এক স্থায়ী বনকর্মীকে কর্তব্যে অবহেলার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। চিড়িয়াখানায় আপাতত ২২ জন অ্যানিম্যাল কিপার ও ১৪ জন নৈশ প্রহরী রয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের পরে জানান, হত্যাকারীরা বাঘিনীর কোনও দেহাংশ নেয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চললেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার নিন্দা করে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির সদস্য ফিরোজ আহমেদ প্রশ্ন তোলেন, “চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই বাঘকে সুরক্ষা দিতে না পারলে, বাইরে কী ভাবে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব? কী ভাবে নৈশ প্রহরীরা চিড়িয়াখানা অরক্ষিত রেখে খেতে যান? গুলি করে, বাঘকে কেটে পালিয়ে যাওয়ার মতো সময়ই বা কী করে পেল শিকারিরা?” তাঁর দাবি, “সঠিকভাবে তদন্ত করে অবিলম্বে দোষীদের ধরতে হবে। চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা কঠোর করা প্রয়োজন। দেশের সব চিড়িয়াখানার বর্তমান প্রহরা ব্যবস্থারই মূল্যায়ণ দরকার।”
|
পুকুরের জল থেকে দূষণের নালিশ বাগনানে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
|
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় |
দু’টি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না-হওয়ায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এই অভিযোগ উঠেছে বাগনানের উত্তর নবাসন গ্রামে। বর্তমানে যে ভাবে চারিদিকে ডেঙ্গি হচ্ছে তাতে এই পুকুর দু’টি সংস্কার না-হওয়ায় বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। দু’টি পুকুরের একটির আয়তন প্রায় ৩ বিঘা। অন্যটি হল প্রায় ১৭ বিঘা। পুকুর দু’টিই কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। পাড়ের চারিদিকে নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। বেড়ে চলেছে দুর্গন্ধ। মশা মাছির উপদ্রব দেখা দিয়েছে। পুকুর-সংলগ্ন দেঁড়েপাড়া, সাঁতরাপাড়া, গোঁড়া পাড়া, অধিকারীপাড়া প্রভৃতি এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানান। পুকুর দু’টি অবিলম্বে সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এক সময়ে এই পুকুরের জলে মানুষ জামাকাপড় কাচতেন। এর জলে তাঁরা স্নানও করতেন। ১৭ বিঘা পুকুরটির চারিদিকে এখনও বেশ কয়েকটি ঘাট রয়েছে। কিন্তু সেগুলি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই পুকুরটির মালিক মহাদেব মণ্ডল। তিনি বলেন, “পুকুর সংস্কার করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তা না থাকায় ফলে এটি সংস্কারের বিষয়ে আমি কোনও চিন্তা-ভাবনা করছি না।” বাগনান ১ ব্লকের অধীন বাগনান ১ পঞ্চায়েতের স্থানীয় সদস্য কাকুলি দেঁড়ে এবং প্রধান রেখা দাস বলেন, “পুকুর পরিষ্কার করার জন্য আমরা বেশ কয়েক বার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পুকুরটির বর্তমান মালিক আমাদের অনুমতি দেননি। সেই কারণে পুকুর সংস্কার করা যায়নি।” |
মানসে গন্ডারের জন্ম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে প্রতিস্থাপিত গন্ডারের বাচ্চা হল। মানস জাতীয় উদ্যানের ঘটনা। ২০০৮ সাল থেকে চলতি বছর অবধি গন্ডারহীন মানসে মোট ২৪টি গন্ডার প্রতিস্থাপিত করা হয়। এদের মধ্যে তিনটি মারা গিয়েছে। মানসে এই প্রথম গন্ডারের বাচ্চা হল।
|
কোর্টে কেন্দ্র |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ব্যাঘ্র সংরক্ষণের কোর এলাকায় পর্যটন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্র। এ বিষয়ে নতুন নির্দেশিকাও জমা দিয়েছে কেন্দ্র।
|
বাঘের হাতে |
সংবাদসংস্থা • হৃষীকেশ |
বাঘের হাতে মৃত্যু হল এক চিতাবাঘের। উত্তরাখণ্ডের করবেট ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার ঘটনা। শিকার দখলের এ রকম লড়াই হামেশাই হয় বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। |
|