পুজোয় শহর সাফ রাখতে পুর-উদ্যোগ
পুজোর দিনগুলিতে শহর সাফসুতরো রাখতে উদ্যোগী হল শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ওই কাজের জন্য বাড়তি ১৫০ জন ঠিকা কর্মী নেওয়া হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষই জানিয়েছেন, ‘আর্বান এমপ্লয়মেন্ট স্কিম’-এর মাধ্যমে ওই কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে পুজোর সময় শহর সাফাইয়ের জন্য। পুজোর সময় মণ্ডপ চত্বরও পরিষ্কার করবেন তারা। ওই পরিষেবার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে বাড়তি কোনও ফি পুরসভাকে দিতে হবে না। তা ছাড়া পুজোর দিনগুলিতে রাতের বেলায় বিশেষ সাফাই অভিযান চলবে পুরসভার তরফে। বিজর্সনের দিনগুলিতে নদী সাফ রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মহালয়ার আগে ঘরদোর সাফ করেন বাসিন্দারা। বাড়ির চত্বরে থাকা ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করেন অনেকই। সে কারণে এ সময় বাড়তি আবর্জনা তৈরি হয়। ঝোপ-জঙ্গল কেটে বাড়ির আবর্জনা সাফ করে বাইরে ফেলে রাখলে পুরসভার সাফাই কর্মীরা তা নিয়ে যান। সে জন্য আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে শহরবাসীকে ঘরদোর সাফ করতে পুরসভার তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঠিকা কর্মীদের ওই কাজে নামানো হয়েছে।
সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, “পুজো মণ্ডপ ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার রাখতে পুরসভার কর্মীরাই পরিষেবা দেবেন। আগে ওই পরিষেবার জন্য পুজোর উদ্যোক্তাদের আলাদা ফি দিতে হত। কিন্তু এখন তাদের ওই কাজের জন্য কোনও ফি দিতে হবে না। তা ছাড়া পুজোর সময় শহর সাফ রাখতে পুরসভার তরফে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই কাজের জন্য বাড়তি লোকও নেওয়া হয়েছে।”
শহরে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো পুজো হয়। সমস্ত মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকা নিখরচায় সাফাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহর সাফ রাখা এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে পুজো কমিটিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা হয়েছে। পুজো মণ্ডপে পরিবেশ সচেতনতা প্রচার এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপর ওই পুরস্কার দেওয়া হবে।
বর্ষার সময়ই বাড়তি ওই কর্মীদের নিয়োগ করে তাদের দিয়ে বেহাল নিকাশি নালাগুলি সাফ করানো হয়। পুজোর মুখে তাদের কাজের সময় সীমা প্রায় ৩ মাস বাড়িয়ে তাদের দিয়ে শহরের সাফাইয়ের কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই কর্মীদের পুরসভার ৫টি বরোতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বরোগুলি থেকেই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলির সাফাইয়ের পরিষেবার বিষয়টি নজরদারি করা হবে। মূল অফিসেও একটি বিশেষ দল থাকবে।
বিসর্জনের দিন নদীতে প্রতিমার কাঠামো থেকে ফুল-বেলপাতা ছড়িয়ে দূষণ ঘটায়। সে কারণে ওই সময় নদী সাফ রাখতে সাফাই কর্মীদের বিশেষ দল তৈরি থাকবে। বিসর্জনের আগে ফুল বেলপাতা ঘাটেই বিশেষ জায়গায় ফেলতে হবে। বিসর্জন হয়ে গেলেই প্রতিমার কাঠামো জল থেকে তুলে নদী সাফ রাখা হবে।

রেঞ্জ অফিসে হামলা, মার
হাতির দল গ্রামে ঢুকে জমির ফসল নষ্ট করায় বন দফতরের রেঞ্জ অফিস আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে সোনামুখী রেঞ্জ অফিসের ঘটনা। ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলন ডেইভালের অভিযোগ, “কিছু লোক হামলা চালিয়ে এক বন কর্মীকে মারধর করে চেয়ার-টেবিল উল্টে তিনটি সার্চ লাইট নিয়ে পালিয়েছে।” তিনি জানান, শনিবার রাতে কিছু হাতি স্থানীয় অনন্তবাটি গ্রামে ঢুকে জমির ফসল নষ্ট করেছে। এই অভিযোগে রেঞ্জ অফিসে হামলা হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, কারা হামলা চালিয়েছে জানি না। তবে হাতির হামলা চললেও বন দফতর হাতি তাড়ানোর উদ্যোগ নেয়নি।

বাঘের হানায় মৃত্যু
বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক মৎস্যজীবীর। রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পিরখালি-৫ জঙ্গলের খোনাখালি নদীর কাছে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৎস্যজীবীর নাম সুশীল সর্দার (৩৪)। বাড়ি লাহিড়িপুরের টিপলিঘেরি গ্রামে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে তিন জনের একটি দল মাছ ধরতে গিয়েছিল ওই নদীতে। সুশীলবাবু ছাড়াও দলে ছিলেন পরিতোষ ও বিষ্ণু সর্দার। পরিতোষবাবু বলেন, “এ দিন সকালে নদীতে জাল ফেলে নৌকায় বসে খাওয়া দাওয়া করছিলাম। আচমকা একটা বাঘ নৌকায় লাফ দিয়ে সুশীলকে টেনে নিয়ে পালায়। আমরা লাঠি নিয়ে বাঘটাকে তাড়া করি। তাতে বাঘটা সুশীলকে ফেলে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। সুশীলের দেহ উদ্ধার করে আমরা ফিরে আসি।” ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর প্রশান্ত পণ্ডিত বলেন, “বাঘের আক্রমণে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ওঁরা কোর এলাকায় গিয়ে মাছ ধরছিলেন। মাছ ধরার অনুমতি ওঁদের থাকলেও ওই নিষিদ্ধ এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.